ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাজারে অসহায় মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তরা নাগালের বাইরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
  • / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঘূর্নিঝড় ও বৃষ্টির প্রভাবে সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে সবজি সরবরাহ কমেছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়েই চলেছে।

দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে গত সপ্তাহের মতোই কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (৩১ মে) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরেজমিনে রাজধানীর নিউমার্কেট, শেওড়াপাড়া, তালতলা ও রামপুরা বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একই দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩৪০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে এসব বাজারে সব ধরনের সবজি দাম কিছুটা কমেছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ১০০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দর চলছে।

ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং গাজর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ১০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে , কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৭০ টাকা আর আলু ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর সব মাছের দামই বাড়ন্ত। তারপরও মধ্যবিত্তের বাজারের ব্যাগে কমবেশি মাছ উঠলেও নিম্নমধ্যবিত্তের দীর্ঘশ্বাস। একটু বড় সাইজের পাঙাশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়, তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকায়। মধ্যবিত্ত কিনতে পারলেও নিম্নবিত্ত কিংবা শ্রমজীবী মানুষজন কেনার কথা চিন্তাও করতে পারছে না।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই মাছ ২৬০-২৯০ টাকা, রুই মাছের পোনা ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় পাঙাশ মাছ ২০০-২৫০, ছোট পাঙাশ মাছ ১৫০-২০০ টাকা, পাবদা মাছ (আকারভেদে) ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি (আকারভেদে) ৬৫০-৭৫০ টাকা ও শিং মাছ (দেশি ও থাই) ৩০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ মাছ যথাক্রমে ৭০০-৮০০, ১০০০-১৩০০ ও ১৪০০-২০০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ছোট মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, কৈ মাছ ৩৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সুরমা, রুপচাঁদা, লাল কোরাল এবং বাটা মাছ ২০০-১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে এসব মাছের দাম ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমবেশি হতে দেখা গেছে।

রুহুল আমিন নামের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, সামনে মাছের দাম আরো বাড়ার সম্ভবনা আছে। কারণ, বন্যার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ মাছের ঘের ভেসে গিয়েছে। যার প্রভাব এখন বাজারে পড়বে। মাছের দাম আগে যেমন ছিল আজও তেমন আছে। হয়ত ছুটির দিন হিসেবে পাঁচ-দশ টাকা এদিক সেদিকে হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

উৎপাদন বাড়ায় চলতি সপ্তাহে ইলিশ মাছের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেটা গত সপ্তাহেও ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এসব বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, বি আর-আটাশ ৫৫ থেকে-৫৮ টাকা, পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৭৫ টাকা। আর ভালো মানের চিকন চালের কেজি ৮৫ টাকা।

বাজারগুলোতে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। দেশি ও আমদানি করা মসুর ডাল ১৫০ টাকা, আমদানি করা মোটা ডালের কেজি ১২০ টাকা, ছোলার ডাল ১৩০ টাকা, অ্যাংকর ডালের কেজি ৯০ টাকা। এসব বাজারে আদা ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা এবং রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার বাইরের বাজারগুলিতে নজর দিলে দেখা যায়, রাজধানীর বাজারে যে পণ্য যেই দামে বিক্রি হচ্ছে তারমধ্যে ঢাকার বাইরে দামের ফারাক ১৯/২০।

চট্টগ্রামের বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে সবজির দাম। বাজারে বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকায়। এদিকে ডিমের বাজার গত সপ্তাহের তুলনায় ডজনপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। ডজনে ফার্মের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এ ছাড়া মুরগির মাংসের দামও কেজিপ্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

রাজশাহীর কাঁচা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও কমেছে অধিকাংশ সবজির দাম। পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। কেজিতে ৫০ টাকা কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

একইভাবে কেজিতে ৫ টাকা কমে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা কমে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা।

বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ২০ টাকা কমে কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ ছাড়া অন্যান্য সবজি মিছে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। পূর্বের দামে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়।

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগি দাম, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা এবং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পণ্যের দাম কমে এবং সরবরাহ ঘাটতি থাকলেই দাম বাড়ে এতে তাদের কিছু করার নেই।

ক্রেতারা বলছেন, সিজনাল সবজির দাম কম থাকলেও সকল পণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করে। এ নিয়ে সরকারের নজরদারি প্রয়োজন।

বরিশালে এখনো ঊর্ধ্বমুখী আলু, পেঁয়াজ, আদাসহ সবজির দাম। তবে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। এই জেলায় বাজারে কাঁচামরিচ গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও ২৪০, টমেটো ৭০, গাজর ১৬০, বরবটি ১২০, কাঁকরোল ৬০, পেঁপে ৬০, শসা ৫০, বেগুন ৬০, করলা ৫০, ফুলকপি ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু কিছু সবজির দাম কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

অপরদিকে ডিম প্রতি হালিতে ৫ টাকা কমে ৫০, তবে আলু এখনো ৫৫, পেঁয়াজ ৭০-৭৫, আমদানি করা রসুন ২২০–২৩০, আদা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা কমেছে মুরগি দাম। বাজারে ব্রয়লার ১৯০, সোনালি ৩২০, লেয়ার ৩৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জেলার বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁদেরও খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর ক্রেতারা বলছেন, নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে বাজার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাজারে অসহায় মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তরা নাগালের বাইরে

আপডেট সময় : ১২:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

ঘূর্নিঝড় ও বৃষ্টির প্রভাবে সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে সবজি সরবরাহ কমেছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়েই চলেছে।

দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে গত সপ্তাহের মতোই কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (৩১ মে) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরেজমিনে রাজধানীর নিউমার্কেট, শেওড়াপাড়া, তালতলা ও রামপুরা বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একই দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩৪০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে এসব বাজারে সব ধরনের সবজি দাম কিছুটা কমেছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ১০০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দর চলছে।

ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং গাজর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ১০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে , কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৭০ টাকা আর আলু ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর সব মাছের দামই বাড়ন্ত। তারপরও মধ্যবিত্তের বাজারের ব্যাগে কমবেশি মাছ উঠলেও নিম্নমধ্যবিত্তের দীর্ঘশ্বাস। একটু বড় সাইজের পাঙাশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়, তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকায়। মধ্যবিত্ত কিনতে পারলেও নিম্নবিত্ত কিংবা শ্রমজীবী মানুষজন কেনার কথা চিন্তাও করতে পারছে না।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই মাছ ২৬০-২৯০ টাকা, রুই মাছের পোনা ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় পাঙাশ মাছ ২০০-২৫০, ছোট পাঙাশ মাছ ১৫০-২০০ টাকা, পাবদা মাছ (আকারভেদে) ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি (আকারভেদে) ৬৫০-৭৫০ টাকা ও শিং মাছ (দেশি ও থাই) ৩০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ মাছ যথাক্রমে ৭০০-৮০০, ১০০০-১৩০০ ও ১৪০০-২০০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ছোট মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, কৈ মাছ ৩৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সুরমা, রুপচাঁদা, লাল কোরাল এবং বাটা মাছ ২০০-১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে এসব মাছের দাম ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমবেশি হতে দেখা গেছে।

রুহুল আমিন নামের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, সামনে মাছের দাম আরো বাড়ার সম্ভবনা আছে। কারণ, বন্যার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ মাছের ঘের ভেসে গিয়েছে। যার প্রভাব এখন বাজারে পড়বে। মাছের দাম আগে যেমন ছিল আজও তেমন আছে। হয়ত ছুটির দিন হিসেবে পাঁচ-দশ টাকা এদিক সেদিকে হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

উৎপাদন বাড়ায় চলতি সপ্তাহে ইলিশ মাছের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেটা গত সপ্তাহেও ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এসব বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, বি আর-আটাশ ৫৫ থেকে-৫৮ টাকা, পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৭৫ টাকা। আর ভালো মানের চিকন চালের কেজি ৮৫ টাকা।

বাজারগুলোতে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। দেশি ও আমদানি করা মসুর ডাল ১৫০ টাকা, আমদানি করা মোটা ডালের কেজি ১২০ টাকা, ছোলার ডাল ১৩০ টাকা, অ্যাংকর ডালের কেজি ৯০ টাকা। এসব বাজারে আদা ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা এবং রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার বাইরের বাজারগুলিতে নজর দিলে দেখা যায়, রাজধানীর বাজারে যে পণ্য যেই দামে বিক্রি হচ্ছে তারমধ্যে ঢাকার বাইরে দামের ফারাক ১৯/২০।

চট্টগ্রামের বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে সবজির দাম। বাজারে বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকায়। এদিকে ডিমের বাজার গত সপ্তাহের তুলনায় ডজনপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। ডজনে ফার্মের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এ ছাড়া মুরগির মাংসের দামও কেজিপ্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

রাজশাহীর কাঁচা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও কমেছে অধিকাংশ সবজির দাম। পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। কেজিতে ৫০ টাকা কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

একইভাবে কেজিতে ৫ টাকা কমে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা কমে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা।

বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ২০ টাকা কমে কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ ছাড়া অন্যান্য সবজি মিছে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। পূর্বের দামে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়।

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগি দাম, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা এবং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পণ্যের দাম কমে এবং সরবরাহ ঘাটতি থাকলেই দাম বাড়ে এতে তাদের কিছু করার নেই।

ক্রেতারা বলছেন, সিজনাল সবজির দাম কম থাকলেও সকল পণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করে। এ নিয়ে সরকারের নজরদারি প্রয়োজন।

বরিশালে এখনো ঊর্ধ্বমুখী আলু, পেঁয়াজ, আদাসহ সবজির দাম। তবে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। এই জেলায় বাজারে কাঁচামরিচ গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও ২৪০, টমেটো ৭০, গাজর ১৬০, বরবটি ১২০, কাঁকরোল ৬০, পেঁপে ৬০, শসা ৫০, বেগুন ৬০, করলা ৫০, ফুলকপি ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু কিছু সবজির দাম কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

অপরদিকে ডিম প্রতি হালিতে ৫ টাকা কমে ৫০, তবে আলু এখনো ৫৫, পেঁয়াজ ৭০-৭৫, আমদানি করা রসুন ২২০–২৩০, আদা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা কমেছে মুরগি দাম। বাজারে ব্রয়লার ১৯০, সোনালি ৩২০, লেয়ার ৩৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জেলার বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁদেরও খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর ক্রেতারা বলছেন, নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে বাজার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।