ঢাকা ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গি তৎপরতার আলামত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
  • / ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করতে না পারলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর হাব তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মন্ত্রী বলেছেন, জঙ্গিবাদের যে আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরে করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইতোমধ্যে সেই আলামত রয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ১৯ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্ব হওয়ায় ক্যাম্পে অস্থিরতা রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, এখানে অস্ত্র মজুত, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের হাব, অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়ে যেতে পারে। অনেক কিছুই হতে পারে। সেই হতে পারার মধ্যে কিছু কিছু আলামত আমরা দেখছি। এখানে গুটিকয়েক লোক যারা মিয়ানমারে যুদ্ধ করছে, নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, তাদেরও আনাগোনা দেখছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো, যেটাকে আমরা সব সময় ভয় পেয়ে আসছি। আমাদের দেশে কোনো ড্রাগ তৈরি হচ্ছে না। সেখান (মিয়ানমার) থেকে ড্রাগ আসছে। ক্যাম্পের কিছুসংখ্যক লোক এর সঙ্গে জড়িত। আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। যারা ক্যাম্পে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে, রক্তপাতে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সবাই কাজ করছে।

রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সহযোগিতা করছে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়েছে, সবকিছু ছেড়ে এসেছে। এতে তাদের ভবিষ্যৎ কী সেটি তাদের কাছে অদৃশ্য। তাই আমরা অনেক আগে থেকেই বলছিলাম, তাদের পাঠিয়ে দিতে। এ ক্ষেত্রে মিয়ানমার সমন্বিতভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি করেছে, কিন্তু চুক্তি পর্যন্তই শেষ। কোনো কাজ হয়নি।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিজেদের মধ্যে নানা ঝামেলা আছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২০১৭ সালের পরপরই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আমরা মনে করি, তাদের (রোহিঙ্গাদের) ফেরত নেবে। তা যত দ্রুত হয়, তা আমাদের জন্য মঙ্গল।

বেলা ১১টায় উখিয়ার ১৯ নম্বর ঘোনার পাড়া ক্যাম্পে এপিবিএনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে সোয়া ১২টায় ক্যাম্পটির এ-৭ ব্লকের পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শন করেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি আনোয়ার হোসেন, এপিবিএনের প্রধান সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার শহরের হিলটপ সার্কিট হাউসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গি তৎপরতার আলামত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করতে না পারলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর হাব তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মন্ত্রী বলেছেন, জঙ্গিবাদের যে আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরে করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইতোমধ্যে সেই আলামত রয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ১৯ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্ব হওয়ায় ক্যাম্পে অস্থিরতা রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, এখানে অস্ত্র মজুত, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের হাব, অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়ে যেতে পারে। অনেক কিছুই হতে পারে। সেই হতে পারার মধ্যে কিছু কিছু আলামত আমরা দেখছি। এখানে গুটিকয়েক লোক যারা মিয়ানমারে যুদ্ধ করছে, নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, তাদেরও আনাগোনা দেখছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো, যেটাকে আমরা সব সময় ভয় পেয়ে আসছি। আমাদের দেশে কোনো ড্রাগ তৈরি হচ্ছে না। সেখান (মিয়ানমার) থেকে ড্রাগ আসছে। ক্যাম্পের কিছুসংখ্যক লোক এর সঙ্গে জড়িত। আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। যারা ক্যাম্পে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে, রক্তপাতে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সবাই কাজ করছে।

রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সহযোগিতা করছে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়েছে, সবকিছু ছেড়ে এসেছে। এতে তাদের ভবিষ্যৎ কী সেটি তাদের কাছে অদৃশ্য। তাই আমরা অনেক আগে থেকেই বলছিলাম, তাদের পাঠিয়ে দিতে। এ ক্ষেত্রে মিয়ানমার সমন্বিতভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি করেছে, কিন্তু চুক্তি পর্যন্তই শেষ। কোনো কাজ হয়নি।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিজেদের মধ্যে নানা ঝামেলা আছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২০১৭ সালের পরপরই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আমরা মনে করি, তাদের (রোহিঙ্গাদের) ফেরত নেবে। তা যত দ্রুত হয়, তা আমাদের জন্য মঙ্গল।

বেলা ১১টায় উখিয়ার ১৯ নম্বর ঘোনার পাড়া ক্যাম্পে এপিবিএনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে সোয়া ১২টায় ক্যাম্পটির এ-৭ ব্লকের পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শন করেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি আনোয়ার হোসেন, এপিবিএনের প্রধান সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার শহরের হিলটপ সার্কিট হাউসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।