রোহিঙ্গাদের জন্য আরও সহায়তা বাড়াবে ডব্লিউএফপি
- আপডেট সময় : ০২:৩৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
- / ৩৮২ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজারে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ই-ভাউচার আউটলেটে একজন রোহিঙ্গা তার মাসিক খাদ্য রেশন সংগ্রহ করছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আবারও খাদ্য রেশন বাড়াবে এবং আগামী আগস্টের মধ্যে তা পূর্ণ রেশনে পৌঁছবে।
শনিবার (১ জুন) থেকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে সকল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য রেশন আংশিকভাবে বৃদ্ধি করবে, যা প্রতি মাসে জনপ্রতি ১০ মার্কিন ডলার থেকে ১১ মার্কিন ডলারে উন্নীত করবে। ডব্লিউএফপি শুক্রবার (৩১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ডব্লিউএফপি বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি চলতি বছরের শুরু থেকেই খাদ্য সহায়তা প্যাকেজে পুষ্টিচাল অন্তর্ভুক্ত করেছে। স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা এবং ফর্টিফাইড এ চালে নিয়মিত চালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্ধিত এই সহায়তা ইতোমধ্যেই কক্সবাজারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শতভাগ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে।
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেল্লি বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব পূর্ণ রেশনে ফিরে আসা জরুরি। এটি কেবল তাৎক্ষণিক দুর্ভোগই দূর করবে না, সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আশ্রয়, রান্নার জ্বালানির মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির ওপর চাপও কমাবে, যা এখন অর্থসংকটের সম্মুখীন।”
ডম স্ক্যালপেল্লি আরও বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাই। শুধু তহবিল সংগ্রহ নয়, বরং অক্লান্ত প্রচারণার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটকে তাদের সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডায় শীর্ষে রাখার জন্য প্রতিটি পর্যায়ে তাদের প্রচেষ্টা মানবিকতার সর্বোত্তম উদাহরণ। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের সহায়তা একান্ত প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য যে, গত ২৪ মে ক্যাম্পগুলোর একটি অংশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় চার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে, ডব্লিউএফপি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে গরম খাবার এবং উচ্চ পুষ্টিগুণসম্পন্ন বিস্কুট প্রদান করে। এর দুদিন পর ঘূর্ণিঝড় রেমাল কক্সবাজার ও ভাসানচরসহ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে আঘাত হানে। সৌভাগ্যক্রমে, বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তবে ডব্লিউএফপি এবং তার অংশীদারেরা জুনে বর্ষা মৌসুম ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।