মূল্য সমন্বয়ের নামে জ্বালানি তেল, ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার প্রকারান্তরে প্রতি মাসেই জনগণের পকেট কাটছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
দলটি বলছে, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ এগুলো একটি অপরটির সঙ্গে সম্পৃক্ত। একটির মূল্যবৃদ্ধি পেলে অপরটির মূল্যও বৃদ্ধি পাবে। এই অপরিকল্পিত ও অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বোঝা দিন শেষে জনগণকেই বইতে হয়। আর ভর্তুকি কমাতে সরকার এখন যা করছে, তা দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়।
শনিবার (১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বারবার সরকার জ্বালানি তেল, গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করছে সরকার। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে প্রচণ্ড সংকট চলছে, সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। এর মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধি, জনগণের জন্য অসহনীয়। কোনো জনবান্ধব সরকার এভাবে জ্বালানি তেল, গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি করতে পারে না।
নেতারা বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে জিনিসপত্রের মূল্য বেড়েই চলছে। সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ, সিন্ডিকেটের হোতারা সরকার চালায়। কতিপয় দুর্বৃত্ত আমদানি-রপ্তানির নামে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে, দুদক তাদের কিছু করতে পারে না। অন্যদিকে সমন্বয়ের নামে জনগণের পকেট কাটতে সরকার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বাড়াচ্ছে।
তারা বলেন, সরকার হোক আর ব্যবসায়ী, সবক্ষেত্রেই ‘সমন্বয়’ বলতে মূল্য কেবলই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার আর ব্যবসায়ীরা সবাই সমন্বয়ের নামে মূল্যবৃদ্ধি করছে। তারা এবারও ভাবছে না জনগণ কীভাবে সমন্বয় করবে? চলমান অবস্থায় জনগণের টিকে থাকাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
ন্যাপ নেতারা বলেন, এভাবে মূল্যবৃদ্ধি অপরিকল্পিত, অবিবেচনাপ্রসূত। অযৌক্তিকভাবে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। সঠিক কোনো পরিকল্পনা নেই বলেই এভাবে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে এবং সাহায্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত এই গোষ্ঠীর কাছে নগদ অর্থ সহায়তাও পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। কাদের নগদ সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন সেটাও জানা থাকতে হবে, এর ডেটাবেজ থাকতে হবে। সেই ব্যবস্থা না নিয়ে হঠাৎ করে ভর্তুকি উঠিয়ে নেওয়ায় একটি বিরাট সংখ্যক মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাবে।