নিরস্ত্র জাবালিয়ায় সশস্ত্র ইসরায়লের আক্রোশ
- আপডেট সময় : ০২:০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
- / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে
আক্ষরিত অর্থেই ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে সশস্ত্র দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার (৩১ মে) গাজার জরুরি সেবা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ইসরায়েলের ২০ দিনের অভিযানে জাবালিয়া শহরের বেশির ভাগ অংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে এক হাজারের বেশি বাড়িঘর মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, উত্তর গাজার আরও কিছু এলাকা থেকেও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার শুরু করার খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে তাল আজ-জাতার, বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুন। এসব এলাকায় থাকা সাংবাদিকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলি সেনা সরে যাওয়ার পর এসব এলাকায় হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধারে কাজ শুরু করেছেন জরুরি পরিষেবা বিভাগের সদস্যরা। বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা দেখে তারা স্তম্ভিত। বাড়িঘর ও সরকারি স্থাপনা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। বিধ্বস্ত সড়কে গলিত মরদেহ পড়ে আছে।
একজন বাসিন্দা আল-জাজিরাকে বলেন, ‘জাবালিয়ায় ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা দেখুন। ইসরায়েলিরা আমাদের শেষ করে দিয়েছে। তারা মূলত আমাদের ওপর তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে।’
অপর এক বাসিন্দা বলেন, ‘গোটা এলাকা উধাও হয়ে গেছে। লোকজন তাদের বাড়িঘর খুঁজে পাচ্ছেন না। এমনকি আমরা আমাদের আত্মীয়স্বজনদের খুঁজে পাব কি না, জানি না। এটা অপরাধ।’
জাবালিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা বলেছে, সেনারা পূর্ব জাবালিয়ায় তাদের অভিযান সম্পন্ন করেছেন। নতুন অভিযানের জন্য তারা প্রস্তুত হচ্ছেন। সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ অভিযানের সময় প্রায় ৫০০ যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়। সাতজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া দশ কিলোমিটার দীর্ঘ ভূগর্ভস্থ টানেল ধ্বংস করা হয়েছে।