ঢাকা ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চাঁদের দূরবর্তী অংশে অবতরণ করল চীনের চন্দ্রযান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাঁদের দূরবর্তী ও দুর্গম অঞ্চলে অবতরণ করেছে চীনের চন্দ্রযান। চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার (২ জুন) সকাল ৬টা ২৩ মিনিটে দক্ষিণ মেরু-আইটকেন অববাহিকায় অবতরণ করে মনুষ্যবিহীন চন্দ্রযান চ্যাং’ই-৬।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রথম দেশ হিসেবে গত ৩ মে চাঁদের দূরবর্তী অঞ্চল থেকে পাথর ও মাটির কিছু নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসতে মনুষ্যবিহীন লং মার্চ-৫ রকেটে করে চন্দ্রযান ছ্যাং’এ-৬ উৎক্ষেপণ করে চীন। মূলত চাঁদের ওই অংশে অবতরণ করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ সেখানে মহাকাশযানের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায় না। চীনই একমাত্র দেশ যারা এর আগে ২০১৯ সালে চ্যাং’ই-৪ অবতরণ করে এই কৃতিত্ব অর্জন করে।

ওয়েনচ্যাং স্পেস লঞ্চ সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণের পর চ্যাং’ই-৬ মহাকাশযানটি অবতরণের অপেক্ষায় চাঁদের কক্ষপথে ঘুরছিল। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, অবতরণের সময় অটোনোমাস ভিজ্যুয়াল অবস্টাক্যাল এভয়ডেন্স সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অবতরণের পথে কোনো বাধা থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করতে পারে। এর একটি ক্যামেরা চন্দ্র পৃষ্ঠের উজ্জ্বলতা এবং অন্ধকারের ওপর ভিত্তি করে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ অবতরণ অঞ্চল নির্বাচন করে।

চন্দ্রযানের ল্যান্ডারটি নিরাপদ অবতরণ এলাকার প্রায় ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) ওপর থেকে একটি থ্রিডি লেজার স্ক্যানার ব্যবহার করে ধীরে ধীরে উল্লম্বভাবে নামতে থাকে। কুইকিয়াও-২ রিলে স্যাটেলাইট এই অভিযানে সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছে সিএনএসএ। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ সফল অবতরণের ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছে। তারা জানায়, রোববার সকালে চ্যাং’ই ল্যান্ডিং ক্রাফটটি চাঁদের মাটি স্পর্শ করার পর বেইজিং অ্যারোস্পেস ফ্লাইট কন্ট্রোল সেন্টারে করতালির ঝড় ওঠে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চাঁদের দূরবর্তী অংশে অবতরণ করল চীনের চন্দ্রযান

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

চাঁদের দূরবর্তী ও দুর্গম অঞ্চলে অবতরণ করেছে চীনের চন্দ্রযান। চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার (২ জুন) সকাল ৬টা ২৩ মিনিটে দক্ষিণ মেরু-আইটকেন অববাহিকায় অবতরণ করে মনুষ্যবিহীন চন্দ্রযান চ্যাং’ই-৬।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রথম দেশ হিসেবে গত ৩ মে চাঁদের দূরবর্তী অঞ্চল থেকে পাথর ও মাটির কিছু নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসতে মনুষ্যবিহীন লং মার্চ-৫ রকেটে করে চন্দ্রযান ছ্যাং’এ-৬ উৎক্ষেপণ করে চীন। মূলত চাঁদের ওই অংশে অবতরণ করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ সেখানে মহাকাশযানের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায় না। চীনই একমাত্র দেশ যারা এর আগে ২০১৯ সালে চ্যাং’ই-৪ অবতরণ করে এই কৃতিত্ব অর্জন করে।

ওয়েনচ্যাং স্পেস লঞ্চ সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণের পর চ্যাং’ই-৬ মহাকাশযানটি অবতরণের অপেক্ষায় চাঁদের কক্ষপথে ঘুরছিল। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, অবতরণের সময় অটোনোমাস ভিজ্যুয়াল অবস্টাক্যাল এভয়ডেন্স সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অবতরণের পথে কোনো বাধা থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করতে পারে। এর একটি ক্যামেরা চন্দ্র পৃষ্ঠের উজ্জ্বলতা এবং অন্ধকারের ওপর ভিত্তি করে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ অবতরণ অঞ্চল নির্বাচন করে।

চন্দ্রযানের ল্যান্ডারটি নিরাপদ অবতরণ এলাকার প্রায় ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) ওপর থেকে একটি থ্রিডি লেজার স্ক্যানার ব্যবহার করে ধীরে ধীরে উল্লম্বভাবে নামতে থাকে। কুইকিয়াও-২ রিলে স্যাটেলাইট এই অভিযানে সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছে সিএনএসএ। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ সফল অবতরণের ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছে। তারা জানায়, রোববার সকালে চ্যাং’ই ল্যান্ডিং ক্রাফটটি চাঁদের মাটি স্পর্শ করার পর বেইজিং অ্যারোস্পেস ফ্লাইট কন্ট্রোল সেন্টারে করতালির ঝড় ওঠে।