সংসদ নির্বাচনও কয়েক ধাপে করতে চায় নির্বাচন কমিশন
- আপডেট সময় : ১১:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
- / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনও একাধিক দিনে ধাপে ধাপে করলে ব্যবস্থাপনা সহজ হবে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রোববার (২ জুন) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ধাপে ধাপে নির্বাচন হলে এর ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হয়ে যাবে। ভোটকেন্দ্রে অধিক সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন সহজ হবে। মনিটরিংটা সহজ হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা (টিআইবি) বলেছে যে, আমাদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করছি না। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আইনি সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন। টোটাল নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তবে ফেয়ার হয়েছে। একটা দক্ষতার অভাব রয়েছে। সেটা তারা জোর দিয়ে বলেছেন। আমরা বলেছি, আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ করা। আমরা বলেছি, সমস্যা অনেকটাই রাজনৈতিক। রাজনৈতিক সমস্যা নিরসন না হলে, নির্বাচন ব্যবস্থাটা স্টেবল হবে না। পলিটিক্যাল আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা হয়ে গেলে নির্বাচনটা আরও সুন্দর হতে পারে।
সিইসি বলেন, ইভিএম নিয়ে অনাস্থা ছিল, এখনও আছে। ইভিএমে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি যে এখানের ভোট ওখানে চলে গেছে। আমরা এখন অনেক স্পষ্ট, এই মেশিনে সেটা একেবারেই অসম্ভব। তবে ইভিএমটাকে আরও সহজ করা যেতে পারে। মানুষের যদি আস্থা ফিরে তবে ভিভি প্যাডটা যদি লাগিয়ে দেওয়া যায়, তবে এটা আমরা বলতে পারি না, যদি দলগুলো একমত হয়। তাহলে আমরাও এগ্রি করব। নির্বাচনটাও অধিক সুষ্ঠু হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন কখনও একা অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না, যদি না রাষ্ট্র এবং সরকারের পলিটিক্যাল উইল সপক্ষে থাকে। রাষ্ট্রের যদি পলিটিক্যাল উইল সপক্ষে থাকে তাহলে প্রশাসন, পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে বাধ্য।