ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কাটেনি ডলার সংকট, ভোগান্তি ব্যবসায়ীদের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
  • / ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডলার সংকটের কারণে ধারাবাহিকভাবে দেশে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। পরিস্থিতি সামলাতে গত মাসে ডলারের আনুষ্ঠানিক দর এক লাফে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে আমদানি খরচ আরও বেড়ে মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে।

ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর পরও ডলার সংকট কাটছেই না। এলসি খুলতে এখনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এ জটিলতায় শিল্পখাতের উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানিতে আরও সংকট দেখা দিচ্ছে। তবে কোরবানির ঈদকে ঘিরে চলতি মাসে আবারও রেমিট্যান্স বাড়লে রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ২০০ ডলারের বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নগদ ডলার না পেয়ে খোলা বাজারমুখী থেকে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। এখন এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৮.৮০ টাকায় আর ক্রয় করা হচ্ছে ১১৮ থেকে ১১৯ টাকায়।

এক্সচেঞ্জ হাউজের একজন বলেন, ‘কিছু লোক হচ্ছে ডলার নিয়ে জমা করতো এখন এগুলো নেই। ডলার নিয়ে হাহাকার নেই মার্কেটে। কোথায় ডলার যাচ্ছে, কি হচ্ছে।’

গেল ৮ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিনিময় হার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার পর খোলা বাজারের সাথে বিনিময় হারের পার্থক্য কমে আসে। এতে এক লাফে সাত টাকা বাড়ায় ইতিবাচক ধারায় ফেরে রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গেল মে মাসে দেশে বৈধপথে প্রবাসী আয় এসেছে ২২৫ কোটি ডলার। তবে রপ্তানি আয়ের সূচকে এখনও পিছিয়ে। ফলে আশানুরূপ ঋণপত্র খুলতে ডলার সংকটের মুখোমুখিই থাকতে হচ্ছে উৎপাদনের সাথে জড়িত আমদানি গ্রাহকদের।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ডলারের কারণে এলসি খোলা নিয়ে আমরা যে সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছিলাম তা এখনো রয়েছে। আমরা এখনো এলসি খুলতে পারছি না। বিশেষ করে কটনের এলসি খোলা যাচ্ছে না।’

এরই মধ্যে সব ধরনের আমদানি পণ্যে খরচ বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে বাজারে। তবে কোরবানির ঈদকে ঘিরে চলতি মাসে আবারও রেমিট্যান্স বাড়লে রিজার্ভও ইতিবাচক ধারায় ফিরবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। বাজারে ফিরবে গতি।

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, ‘সরকারি প্রণোদনা এখনো আছে। ব্যাংকের যে অংশটুকু প্রণোদনা ছিলো তা এখন নেই। তার মানে হলো ১২০ টাকার ওপরে চলে যায় রেমিট্যান্সের অর্থ প্রতি ডলারে।’

আশা করা হচ্ছিল ডলারের দাম বাড়লে ব্যাংকমুখী হবে ডলার আর কাটবে আনুষ্ঠানিক খাতের ডলার সংকট। তবে সংকট আরও ঘনীভূত। ফলে এখনও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে আমদানিতে ঋণপত্র খোলায়।

ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর পরও ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারমুখী না হলে রপ্তানি আয়েও থাকবে ধীরগতি এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা বলছেন ডলারের যতই দাম বাড়ুক ব্যবসায়ীদের তেমন লাভ হচ্ছে না বরং এলসি জটিলতায় শিল্পখাতের উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানিতে আরও সংকট দেখা দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাটেনি ডলার সংকট, ভোগান্তি ব্যবসায়ীদের

আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

ডলার সংকটের কারণে ধারাবাহিকভাবে দেশে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। পরিস্থিতি সামলাতে গত মাসে ডলারের আনুষ্ঠানিক দর এক লাফে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে আমদানি খরচ আরও বেড়ে মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে।

ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর পরও ডলার সংকট কাটছেই না। এলসি খুলতে এখনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এ জটিলতায় শিল্পখাতের উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানিতে আরও সংকট দেখা দিচ্ছে। তবে কোরবানির ঈদকে ঘিরে চলতি মাসে আবারও রেমিট্যান্স বাড়লে রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ২০০ ডলারের বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নগদ ডলার না পেয়ে খোলা বাজারমুখী থেকে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। এখন এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৮.৮০ টাকায় আর ক্রয় করা হচ্ছে ১১৮ থেকে ১১৯ টাকায়।

এক্সচেঞ্জ হাউজের একজন বলেন, ‘কিছু লোক হচ্ছে ডলার নিয়ে জমা করতো এখন এগুলো নেই। ডলার নিয়ে হাহাকার নেই মার্কেটে। কোথায় ডলার যাচ্ছে, কি হচ্ছে।’

গেল ৮ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিনিময় হার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার পর খোলা বাজারের সাথে বিনিময় হারের পার্থক্য কমে আসে। এতে এক লাফে সাত টাকা বাড়ায় ইতিবাচক ধারায় ফেরে রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গেল মে মাসে দেশে বৈধপথে প্রবাসী আয় এসেছে ২২৫ কোটি ডলার। তবে রপ্তানি আয়ের সূচকে এখনও পিছিয়ে। ফলে আশানুরূপ ঋণপত্র খুলতে ডলার সংকটের মুখোমুখিই থাকতে হচ্ছে উৎপাদনের সাথে জড়িত আমদানি গ্রাহকদের।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ডলারের কারণে এলসি খোলা নিয়ে আমরা যে সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছিলাম তা এখনো রয়েছে। আমরা এখনো এলসি খুলতে পারছি না। বিশেষ করে কটনের এলসি খোলা যাচ্ছে না।’

এরই মধ্যে সব ধরনের আমদানি পণ্যে খরচ বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে বাজারে। তবে কোরবানির ঈদকে ঘিরে চলতি মাসে আবারও রেমিট্যান্স বাড়লে রিজার্ভও ইতিবাচক ধারায় ফিরবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। বাজারে ফিরবে গতি।

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, ‘সরকারি প্রণোদনা এখনো আছে। ব্যাংকের যে অংশটুকু প্রণোদনা ছিলো তা এখন নেই। তার মানে হলো ১২০ টাকার ওপরে চলে যায় রেমিট্যান্সের অর্থ প্রতি ডলারে।’

আশা করা হচ্ছিল ডলারের দাম বাড়লে ব্যাংকমুখী হবে ডলার আর কাটবে আনুষ্ঠানিক খাতের ডলার সংকট। তবে সংকট আরও ঘনীভূত। ফলে এখনও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে আমদানিতে ঋণপত্র খোলায়।

ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর পরও ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারমুখী না হলে রপ্তানি আয়েও থাকবে ধীরগতি এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা বলছেন ডলারের যতই দাম বাড়ুক ব্যবসায়ীদের তেমন লাভ হচ্ছে না বরং এলসি জটিলতায় শিল্পখাতের উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানিতে আরও সংকট দেখা দিচ্ছে।