ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর সংঘাত আরও বাড়তে পারে এমন উত্তেজনা এড়াতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীকে 'উদ্বেগজনক' আখ্যা দিয়ে ডাচ প্রধানমন্ত্রী সব পক্ষকে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধের আহ্বান জানিয়েছেন :::: ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইস্তাম্বুলে বলেছেন যে তিনি রবিবার বিকেলে মস্কো যাবেন এবং মার্কিন হামলার পরে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে সাক্ষাত করবেন :::: ইরানের ওপর মার্কিন হামলার পর 'সংযম' প্রদর্শনের আহ্বান সৌদি আরবের :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বোমা হামলায় পরিস্থিতির অবনতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে কাতার :::: ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে ওমান, যুদ্ধের বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে

চার বছরের মধ্যে প্রবাসী আয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে মে মাসে। গত মে মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২২৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা প্রায় চার বছরের (৪৬ মাস) মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এ যাবৎকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয় সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলার।

জানা গেছে, দেশের ব্যাংকগুলো এখন বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ১১৮ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত দরে প্রবাসী আয় কিনছে। এদিকে, পণ্য রপ্তানি ও প্রবাসী আয় হিসেবে আসা ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পণ্য আমদানির খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে যখন প্রায় ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি চলছে, তখন আমদানি ব্যয় বাড়তে থাকায় তা মানুষকে আরও চাপে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ২ হাজার ১৩৭ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের ১ হাজার ৯৪১ কোটি ডলারের চেয়ে ১৯৬ কোটি ডলার, বা ১০ শতাংশ বেশি। সেবার পুরো অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার। এক মাস বাকি থাকতেই আগের অর্থবছরের প্রায় সমান প্রবাসী আয় এসেছে এবার। গত এপ্রিলে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ২০৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাসে ছিল ১৬৯ কোটি ডলার। সাধারণত প্রতিবছর ঈদের আগে প্রবাসী আয় বেড়ে থাকে।

গত ২৯ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১৮ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। আগের মাস এপ্রিলে, রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার, যা গত ডিসেম্বরের শেষে ছিল ২১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ নিয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণের পরও বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করছে।

ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে অর্থপাচার ও হুন্ডি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না করে শুধু ডলারের দাম বাড়ানো হলে তাতে আমদানি ব্যয় বাড়বে, যা সাধারণ মানুষকে আরও চাপে ফেলবে। এ ছাড়া রপ্তানি আয়ও সময়মতো দেশে আনার বিষয়ে উদ্যোগ থাকা দরকার বলেও মনে করেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

চার বছরের মধ্যে প্রবাসী আয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড

আপডেট সময় : ১২:০৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে মে মাসে। গত মে মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২২৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা প্রায় চার বছরের (৪৬ মাস) মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এ যাবৎকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয় সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলার।

জানা গেছে, দেশের ব্যাংকগুলো এখন বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ১১৮ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত দরে প্রবাসী আয় কিনছে। এদিকে, পণ্য রপ্তানি ও প্রবাসী আয় হিসেবে আসা ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পণ্য আমদানির খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে যখন প্রায় ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি চলছে, তখন আমদানি ব্যয় বাড়তে থাকায় তা মানুষকে আরও চাপে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ২ হাজার ১৩৭ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের ১ হাজার ৯৪১ কোটি ডলারের চেয়ে ১৯৬ কোটি ডলার, বা ১০ শতাংশ বেশি। সেবার পুরো অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার। এক মাস বাকি থাকতেই আগের অর্থবছরের প্রায় সমান প্রবাসী আয় এসেছে এবার। গত এপ্রিলে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ২০৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাসে ছিল ১৬৯ কোটি ডলার। সাধারণত প্রতিবছর ঈদের আগে প্রবাসী আয় বেড়ে থাকে।

গত ২৯ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১৮ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। আগের মাস এপ্রিলে, রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার, যা গত ডিসেম্বরের শেষে ছিল ২১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ নিয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণের পরও বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করছে।

ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে অর্থপাচার ও হুন্ডি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না করে শুধু ডলারের দাম বাড়ানো হলে তাতে আমদানি ব্যয় বাড়বে, যা সাধারণ মানুষকে আরও চাপে ফেলবে। এ ছাড়া রপ্তানি আয়ও সময়মতো দেশে আনার বিষয়ে উদ্যোগ থাকা দরকার বলেও মনে করেন তারা।