ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আহমাদিনেজাদ
- আপডেট সময় : ১২:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
- / ৩৮২ বার পড়া হয়েছে
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিবন্ধন করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। গতকাল রোববার (৩ জুন) তিনি নিবন্ধন করেছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পশ্চিমাদের কড়া সমালোচনার জন্য আহমাদিনেজাদের পরিচিতি রয়েছে। তিনি ২০০৫ ও ২০১৩ সালের মধ্যে দুই মেয়াদে সুন্নিপ্রধান দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি না-ও পেতে পারেন আহমাদিনেজাদ। এর আগে ২০১৭ সালেও তিনি নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। যদিও ইরানি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তাকে নিষেধ করেছিলেন। তবে খামেনির নিষেধ অমান্য করে সেবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধন করেছিলেন তিনি। নিবন্ধন করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে নির্বাচনে দাঁড়াতে দেয়নি আলেমদের নিয়ে গঠিত গার্ডিয়ান কাউন্সিল।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন শুরু হয়। এর মাধ্যমে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইব্রাহিম রাইসির স্থলে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক তোড়জোড় শুরু করে শিয়াপ্রধান দেশটি।
আগামী ১১ জুন প্রার্থীদের একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ১২ সদস্যের গার্ডিয়ান কাউন্সিল। এই কাউন্সিলের সদস্যদের নিয়োগ দেন ইরানি সর্বোচ্চ নেতা।
মূলত ২০২৫ সালে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে গত ১৯ মে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি মারা গেলে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ খালি হয়। তারপরই ২৮ জুন আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তেহরান।
গত ১৯ মে আজারবাইজান থেকে ফেরার পথে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফার পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সোমবার তাদের হেলিকপ্টারটির খোঁজ পায় উদ্ধার দল। তবে এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ ৯ জন নিহত হন।
রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের সংবিধান অনুযায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে (৬৮) ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বর্তমানে মোখবারই রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন। তার অন্যতম দায়িত্ব ৫০ দিনের ভেতরে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা।