ফিলিস্তিনের মধ্য গাজায় আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের বিমান হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে দুটি শরণার্থী শিবির নুসিরাত ও বুরেজে ১০ জন ও আজ জাওয়াইদা এলাকায় ৭ জন নিহত হয়েছে।
এছাড়াও, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এবং রাফাহ শহরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে, ইসরাইলি অভিযানের কয়েকদিন পর জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আরও ৫০টি মরদেহ খুঁজে পেয়েছে উদ্ধারকারীরা। এনিয়ে ওই শরণার্থী শিবির থেকে ১২০টি মরদেহ প্ওায়া গেলো। কয়েকদিন আগে সেখানে ৩দিন ব্যাপক অভিযান চালায় ইসরাইল।
ইসরাইলি বাহিনী উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালেও আক্রমণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার নুরা আল-কাবি বিশেষ কেন্দ্রও ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং উত্তর গাজা বেইত হানুন শহরকে একটি "দুর্যোগ-কবলিত এলাকা" বলে ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
অধিকৃত পশ্চিম তীরেও হামলা চালাচ্ছে নেতানিয়াহু বাহিনী। হাজ্জাহ, জায়ুস এবং আজুন গ্রামে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। সেইসাথে তুবাস শহর এবং জেনিন শহরের কাছে তাম্মুন শহরে হামলা চালায়। ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা ডুমা শহরেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং রামাল্লায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করেছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩৬ হাজার মানুষ ইসরাইলের হামলায় নিহত হয়েছে।
এদিকে, কোনও ভাবেই গাজায় হামাসের শাসন মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মুখোমুখি হওয়া দুই ইসরাইলি নেতার একজন তিনি।