বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৫ আগস্টের ঘটনাকে বিএনপি সমর্থন করে না। কিন্তু, ১৫ আগস্টের সঙ্গে জিয়ার নাম জড়ানোটা ভয়ঙ্কর প্রতিহিংসার রাজনীতিকে উসকে দেওয়ার মতো। যারা জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণাকে অস্বীকার করে, তারা স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করে।
সোমবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে মহিলা দলের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ১৯৭১-৭৫ সাল পর্যন্ত শাসনকালে ৩০ হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, নারীর ওপর নির্যাতন করেছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এখন তারা নারীর ওপর নির্যাতন করতে দ্বিধা করছে না। আজ যারা জেলে গেছেন, সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের অপরাধ কী? অপরাধ তো একটাই স্বাধীনতা চাই, কথা বলতে চাই, ভোট দিতে চাই। এখানে আওয়ামী লীগের আপত্তি, তারা এগুলো দেবে না।’
প্রাথমিক স্কুলের বইতে সরকার মিথ্যা প্রচার করে চলছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, ‘সেখানে একজনের নাম ছাড়া কারো নাম নেই। সেখানে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা কারও নাম নেই। এমনকি শেখ মুজিবের মৃত্যুতে আনন্দ করা অনেকে আওয়ামী লীগের পদে স্থান পেয়েছে। সেখানে তাদের নেতা তাজউদ্দীন আহমদের নাম নেই। জেনারেল ওসমানীর নামও নেই। কেউ নেই। এক নেতা, এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, এটাই তারা আজ প্রচার করছে। তারা দীর্ঘকাল ধরে দেশকে শোষণ করছে, দুর্নীতি করছে।’
তিনি বলেন, এরা দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কঠিন সময় পার করছি আমরা। এই কঠিন সময় আওয়ামী লীগ তৈরি করেছে। সুষ্ঠু ভোট হলে তারা ১০টা সিটও পাবে না। এসময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এখন সেনাবাহিনীর অবস্থায় কোথায়– এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন তার সাবেক প্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা কোথায় থাকে যখন তাদের সাবেক প্রধানকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়। কার সম্মান কোথায় থাকে। আজ এরা দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম পাবনায় ২টি গরু বিক্রি হয়েছে ৪০ লাখ টাকায়। এদিকে মানুষ ডিম কিনতে পারছে না। বাচ্চাদের ডিম দিতে পারছে না। লেখাপড়ার খরচ জোগাতে পারছে না। অন্যদিকে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে গরু কিনছে। এটা কেন? এই দেশের অর্থনীতিকে এমন জায়গা নিয়ে যাওয়া হয়েছে, ধনীকে আরও ধনী করছে। আর গরিবকে আরও গরিব করছে।’
সভায় বক্তব্য দেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা কামাল প্রমুখ।