ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চলমান অর্থনৈতিক সংকট আরও দীর্ঘমেয়াদি হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিতে বাড়েনি কর্মসংস্থান। আমদানি নিয়ন্ত্রণ, ঋণের সুদের হার, ডলারের চড়া দামে ৫৫ শতাংশ কর্মজীবীর জীবনমান উৎপাদন আর রপ্তানির সূচকের মতো মলিন। তারল্য সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকমুখী থাকলেও ঘাটতি বাজেট পূরণে আর্থিক খাতে সরকারের ধার থাকবে এবারও। কিন্তু কৃচ্ছ্বতা সাধনের নিয়ন্ত্রণ কৌশল সরকারের রাজস্ব ব্যয় পরিকল্পনায় আরোপ না হলে চলমান অর্থনৈতিক সংকট আরও দীর্ঘমেয়াদি হবে বলে মত তাদের।

আয়ের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টির পরিমাপক মেলে ভাগ করা শেষে। ৩ বছর আগে বেতন তিন হাজার টাকা কম থাকলেও দুশ্চিন্তার ঘর ছিল শূন্য। এখন প্রতিদিনের যোগফল ঠিক করতে গেলে কোয়ালিটি কন্ট্রোলার শাকিল আহমেদ জীবনের কোয়ালিটি মেলে না।

শাকিল বলেন, ‘পরিবারের কারও না কারও মেডিকেল খরচ লাগে, সেটা মেলাতে পারি না। আমার একটা সঞ্চয় ছিল, সেটা ভেঙ্গে ফেলতে হয়েছে। যে পরিস্থিতি আছে, সেটা যদি ভবিষ্যতেও থাকে তাহলে বাচ্চাদের লেখাপড়া করাতে অসুবিধা হয়ে যাবে। এভাবে চললে টেকা মুশকিল হয়ে যাবে।’

বেতন ৩ হাজার টাকা বাড়লেও মূলত গত তিন বছরে ফি বছর মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১০ শতাংশ হারে।

এই শহরে ৬ হাজার টাকার বেতনের চাকরি করেন নূরজাহান বেগম। তিন বছরে বেতন বেড়েছে ১ হাজার টাকা। তার সন্তুষ্টির বাজার মূল্য সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকার মধ্যে। এর বাইরে থাকে তার স্বপ্ন।

নূরজাহান বলেন, ‘আয়ও নেই, ব্যয়ও নেই। কারেন্ট বিলও বেশি হয়েছে। আগে ২০০ টাকা রুম ভাড়া দিয়েছি, এখন সেই রুম ভাড়া দিতে হয় সাড়ে ৩ হাজার টাকা।’

৬, ৩০ এর বাইরে যদি ৫০ থেকে ৮০ হাজার বেতনের একজনের আয়ের খাত ধরলে সেই চাকুরিজীবীদের ধবধবে সফেদ শার্টের নিচে ছেড়া স্যান্ডো গেঞ্জির গল্পটা কখনোই ওপরে ভেসে ওঠে না। সেটি বুকপকেটের নিচে যত্ন করে চাপিয়ে রাখেন যারা তার নাম মধ্যবিত্ত।

ব্যক্তি ছাড়িয়ে প্রতিষ্ঠানও আছে আয়-ব্যয়ের খাতের ফর্দ। কারখানার শ্রমিকের বেতন ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ চাকা ঘুরলে শ্রমিকের ভাগ্যের চাকা ঘোরে। কিন্তু উচ্চমূল্যের কাঁচামাল, সুদের হার, নিরবিচ্ছিন্নের নামে বিচ্ছিন্ন জ্বালানির মোটা খরচ সবই যেন বেহিসেবি। আর সেই বেহিসেবের অনিশ্চয়তায় ক্রয়াদেশও চলে যাচ্ছে ভিন্ন দেশে। আছে মূলধনের যোগানে ব্যাংকের অসামর্থের চাপ।

টঙ্গি বিসিকের রাব্বানি ওয়াশিংয়ের কারখানা ব্যবস্থাপক মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘বায়াররা যখন আমাদের বিভিন্ন ইস্যু দিয়ে দেয় তখন সে চাওয়াগুলো পূরণ করে তাদের পণ্য ডেলিভারি দিতে হয়।

প্রায় আড়াই বছর ধরে চলছে আমদানি নিয়ন্ত্রণ। তাতে উৎপাদন হয়েছে ব্যাহত। এই মুহূর্তে তিন মাসের যোগান নেই। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়নের মতো আমদানি বিলের চাপ রয়েছে। তখন আমরা ব্যাংক থেকে যে ফ্যাসিলিটিস ও অন্যান্য কাঁচামাল আছে সেগুলো যে আমরা সময়মতো এনে সঠিক সময়ে রপ্তানি করতে পারবো সে নিশ্চয়তা এখন আমরা দিতে পারছি না। এরে ফলে দেখা যাবে সেই ক্রেতারা আমাদের দেশ ছেড়ে অন্য দেশ থেকে আমদানি করবে।’

প্রায় আড়াই বছর ধরে চলছে আমদানি নিয়ন্ত্রণ। তাতে উৎপাদন হয়েছে ব্যাহত। এই মুহূর্তে তিন মাসের যোগান নেই তবে প্রতিমাসে ৫ বিলিয়নের মতো আমদানি বিলের চাপ রয়েছে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আসলে কিছু পরিস্থিতি মেনে নিতে হয়। এর কারণ হচ্ছে কিছু সময়ের জন্য অর্থনীতিকে টেনে ধরা দরকার যেন কোনো মিথ্যা চাহিদা তৈরি না হয়। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো সামষ্টিক স্থিতিশীলতা যেন ফিরে আসে। কিন্তু একই সাথে যদি এই উদ্যোগগুলো নেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য যে উদ্যোগগুলো নেয়া, বিশেষ করে সরকান থেকে যে উদ্যোগগুলো নেয়া দরকার, তা যদি না নেয়া হয় দেখা যাবে দুর্ভোগটা বেসরকারি খাতের ওপরই আরও বেশি হতে থাকে।’

২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এডিপি তে বরাদ্দ বিদেশি ঋণ পাওয়ার কথা ছিল ৯ হাজার ৮৯১ বিলিয়ন ডলার। সেখানে পাওয়া গেছে ৬ হাজার ২৮৪ মিলিয়ন। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘাটতি বাজেট পূরণে এবারও ব্যাংকের ওপর চাপ পড়বে। বেসরকারি বিনিয়োগে পড়বে টান। তাতে ছোট হবে কর্মসংস্থান ও মানুষের আয়ের উৎসের পরিধি।

সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ব্যাংকের ওপর চাপ অব্যাহত থাকবে। এর ফলে যেটা দাঁড়াবে যেহেতু ব্যাংকগুলোর ভেতর তারল্য সংকট আছে এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকে তখন মানুষের ব্যাংকে টাকা রাখার ব্যাপারে আগ্রহ কম থাকে। তখন আমানতের পরিমাণ কম থাকে।’

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রণমূলক অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদে সংকট সৃষ্টি করে। অর্থনীতি নিজের গতিতেই সচল রাখবে প্রবৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘যদি ইমপোর্ট চেপে রাখি, তাহলে কিন্তু বিনিয়োগ বাড়বে না। আর বিনিয়োগ না বাড়লে প্রবৃদ্ধি হবে, কর্মসংস্থানও হবে না। ধীরে ধীরে বাজারটা সহজ হয়ে যাবে। এটা খুব সহজে হবে না। আমার মনে হয়, কয়েক মাস সময় তবুও লেগে যাবে সহজ হতে হতে।’

অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, কর্মসংস্থান হোঁচট খেলে সংকটে শুধু সামাজিক নিরাপত্তার অঙ্ক বাড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়। এছাড়া প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সরকারি ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ও আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত না করা গেলে দেশের অর্থনীতি নিম্নচাপে বিপর্যস্ত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চলমান অর্থনৈতিক সংকট আরও দীর্ঘমেয়াদি হবে?

আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিতে বাড়েনি কর্মসংস্থান। আমদানি নিয়ন্ত্রণ, ঋণের সুদের হার, ডলারের চড়া দামে ৫৫ শতাংশ কর্মজীবীর জীবনমান উৎপাদন আর রপ্তানির সূচকের মতো মলিন। তারল্য সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকমুখী থাকলেও ঘাটতি বাজেট পূরণে আর্থিক খাতে সরকারের ধার থাকবে এবারও। কিন্তু কৃচ্ছ্বতা সাধনের নিয়ন্ত্রণ কৌশল সরকারের রাজস্ব ব্যয় পরিকল্পনায় আরোপ না হলে চলমান অর্থনৈতিক সংকট আরও দীর্ঘমেয়াদি হবে বলে মত তাদের।

আয়ের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টির পরিমাপক মেলে ভাগ করা শেষে। ৩ বছর আগে বেতন তিন হাজার টাকা কম থাকলেও দুশ্চিন্তার ঘর ছিল শূন্য। এখন প্রতিদিনের যোগফল ঠিক করতে গেলে কোয়ালিটি কন্ট্রোলার শাকিল আহমেদ জীবনের কোয়ালিটি মেলে না।

শাকিল বলেন, ‘পরিবারের কারও না কারও মেডিকেল খরচ লাগে, সেটা মেলাতে পারি না। আমার একটা সঞ্চয় ছিল, সেটা ভেঙ্গে ফেলতে হয়েছে। যে পরিস্থিতি আছে, সেটা যদি ভবিষ্যতেও থাকে তাহলে বাচ্চাদের লেখাপড়া করাতে অসুবিধা হয়ে যাবে। এভাবে চললে টেকা মুশকিল হয়ে যাবে।’

বেতন ৩ হাজার টাকা বাড়লেও মূলত গত তিন বছরে ফি বছর মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১০ শতাংশ হারে।

এই শহরে ৬ হাজার টাকার বেতনের চাকরি করেন নূরজাহান বেগম। তিন বছরে বেতন বেড়েছে ১ হাজার টাকা। তার সন্তুষ্টির বাজার মূল্য সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকার মধ্যে। এর বাইরে থাকে তার স্বপ্ন।

নূরজাহান বলেন, ‘আয়ও নেই, ব্যয়ও নেই। কারেন্ট বিলও বেশি হয়েছে। আগে ২০০ টাকা রুম ভাড়া দিয়েছি, এখন সেই রুম ভাড়া দিতে হয় সাড়ে ৩ হাজার টাকা।’

৬, ৩০ এর বাইরে যদি ৫০ থেকে ৮০ হাজার বেতনের একজনের আয়ের খাত ধরলে সেই চাকুরিজীবীদের ধবধবে সফেদ শার্টের নিচে ছেড়া স্যান্ডো গেঞ্জির গল্পটা কখনোই ওপরে ভেসে ওঠে না। সেটি বুকপকেটের নিচে যত্ন করে চাপিয়ে রাখেন যারা তার নাম মধ্যবিত্ত।

ব্যক্তি ছাড়িয়ে প্রতিষ্ঠানও আছে আয়-ব্যয়ের খাতের ফর্দ। কারখানার শ্রমিকের বেতন ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ চাকা ঘুরলে শ্রমিকের ভাগ্যের চাকা ঘোরে। কিন্তু উচ্চমূল্যের কাঁচামাল, সুদের হার, নিরবিচ্ছিন্নের নামে বিচ্ছিন্ন জ্বালানির মোটা খরচ সবই যেন বেহিসেবি। আর সেই বেহিসেবের অনিশ্চয়তায় ক্রয়াদেশও চলে যাচ্ছে ভিন্ন দেশে। আছে মূলধনের যোগানে ব্যাংকের অসামর্থের চাপ।

টঙ্গি বিসিকের রাব্বানি ওয়াশিংয়ের কারখানা ব্যবস্থাপক মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘বায়াররা যখন আমাদের বিভিন্ন ইস্যু দিয়ে দেয় তখন সে চাওয়াগুলো পূরণ করে তাদের পণ্য ডেলিভারি দিতে হয়।

প্রায় আড়াই বছর ধরে চলছে আমদানি নিয়ন্ত্রণ। তাতে উৎপাদন হয়েছে ব্যাহত। এই মুহূর্তে তিন মাসের যোগান নেই। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়নের মতো আমদানি বিলের চাপ রয়েছে। তখন আমরা ব্যাংক থেকে যে ফ্যাসিলিটিস ও অন্যান্য কাঁচামাল আছে সেগুলো যে আমরা সময়মতো এনে সঠিক সময়ে রপ্তানি করতে পারবো সে নিশ্চয়তা এখন আমরা দিতে পারছি না। এরে ফলে দেখা যাবে সেই ক্রেতারা আমাদের দেশ ছেড়ে অন্য দেশ থেকে আমদানি করবে।’

প্রায় আড়াই বছর ধরে চলছে আমদানি নিয়ন্ত্রণ। তাতে উৎপাদন হয়েছে ব্যাহত। এই মুহূর্তে তিন মাসের যোগান নেই তবে প্রতিমাসে ৫ বিলিয়নের মতো আমদানি বিলের চাপ রয়েছে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আসলে কিছু পরিস্থিতি মেনে নিতে হয়। এর কারণ হচ্ছে কিছু সময়ের জন্য অর্থনীতিকে টেনে ধরা দরকার যেন কোনো মিথ্যা চাহিদা তৈরি না হয়। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো সামষ্টিক স্থিতিশীলতা যেন ফিরে আসে। কিন্তু একই সাথে যদি এই উদ্যোগগুলো নেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য যে উদ্যোগগুলো নেয়া, বিশেষ করে সরকান থেকে যে উদ্যোগগুলো নেয়া দরকার, তা যদি না নেয়া হয় দেখা যাবে দুর্ভোগটা বেসরকারি খাতের ওপরই আরও বেশি হতে থাকে।’

২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এডিপি তে বরাদ্দ বিদেশি ঋণ পাওয়ার কথা ছিল ৯ হাজার ৮৯১ বিলিয়ন ডলার। সেখানে পাওয়া গেছে ৬ হাজার ২৮৪ মিলিয়ন। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘাটতি বাজেট পূরণে এবারও ব্যাংকের ওপর চাপ পড়বে। বেসরকারি বিনিয়োগে পড়বে টান। তাতে ছোট হবে কর্মসংস্থান ও মানুষের আয়ের উৎসের পরিধি।

সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ব্যাংকের ওপর চাপ অব্যাহত থাকবে। এর ফলে যেটা দাঁড়াবে যেহেতু ব্যাংকগুলোর ভেতর তারল্য সংকট আছে এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকে তখন মানুষের ব্যাংকে টাকা রাখার ব্যাপারে আগ্রহ কম থাকে। তখন আমানতের পরিমাণ কম থাকে।’

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রণমূলক অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদে সংকট সৃষ্টি করে। অর্থনীতি নিজের গতিতেই সচল রাখবে প্রবৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘যদি ইমপোর্ট চেপে রাখি, তাহলে কিন্তু বিনিয়োগ বাড়বে না। আর বিনিয়োগ না বাড়লে প্রবৃদ্ধি হবে, কর্মসংস্থানও হবে না। ধীরে ধীরে বাজারটা সহজ হয়ে যাবে। এটা খুব সহজে হবে না। আমার মনে হয়, কয়েক মাস সময় তবুও লেগে যাবে সহজ হতে হতে।’

অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, কর্মসংস্থান হোঁচট খেলে সংকটে শুধু সামাজিক নিরাপত্তার অঙ্ক বাড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়। এছাড়া প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সরকারি ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ও আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত না করা গেলে দেশের অর্থনীতি নিম্নচাপে বিপর্যস্ত হবে।