ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চা দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চা দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে। চা শ্রমিকরা আর ভাসমান থাকবে না। তাদের যা প্রয়োজন সবই করবে সরকার। মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজ করেছিলেন। চা শিল্পের গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। চা শ্রমিকরা ভাসমান অবস্থায় আছে। তাদের আর ভাসমান থাকতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আলাদা ফান্ড আছে, সেখান থেকে তাদের জন্য ফান্ড দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চল চায়ের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেটাকে সম্প্রসারণ করা, যত্ন করা, কীভাবে আরো চা উৎপাদন বাড়ান যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ ছাড়া চা বোর্ড, ক্ষুদ্র চাষিদের প্রযুক্তি সহায়তা, প্রণোদনা, সবদিক থেকে সরকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চগড়ের পাশাপাশি লালমনিরহাটেও চা বোর্ডের স্থায়ী অফিস নির্মাণ করা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, পঞ্চগড়ে আঙ্গিনায়ও চা হচ্ছে, তারা তরকারিও ফলায়, চায়ের গাছও লাগায়। চা আমাদের অর্থকরী ফসল হচ্ছে। যেটা দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে। চায়ের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে চা অনেক প্রিয়। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ গেছে, সন্ধ্যার পরে সব চা দোকানে ভিড় করে বসে থাকে। আমাদের নিজেদের চায়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। আমরা যা উৎপাদন করি তা রপ্তানির জন্য খুব বেশি একটা থাকে না। বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশি চা খেতে পছন্দ করে।

তিনি আরো বলেন, ৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন বিদ্যুৎ ছিল না। ৩/৪ ভাগ মানুষ শুধু বিদ্যুৎ পেতো। সেই সময় চা বাগানে যাতে উৎপাদন ব্যহৃত না হয়, শুধু চা বাগান নয়, আমাদের শিল্প কলকারখানা যাতে ভালো ভাবে চলে, তখন জেনারেটর উপর ট্যাক্স তুলে দিয়েছিলাম। যাতে সহজভাবে কিনতে পারে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটেগরিতে জাতীয় চা পুরস্কার পেয়েছে ৮টি কোম্পানি ও ব্যক্তি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

চা দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চা দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে। চা শ্রমিকরা আর ভাসমান থাকবে না। তাদের যা প্রয়োজন সবই করবে সরকার। মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজ করেছিলেন। চা শিল্পের গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। চা শ্রমিকরা ভাসমান অবস্থায় আছে। তাদের আর ভাসমান থাকতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আলাদা ফান্ড আছে, সেখান থেকে তাদের জন্য ফান্ড দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চল চায়ের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেটাকে সম্প্রসারণ করা, যত্ন করা, কীভাবে আরো চা উৎপাদন বাড়ান যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ ছাড়া চা বোর্ড, ক্ষুদ্র চাষিদের প্রযুক্তি সহায়তা, প্রণোদনা, সবদিক থেকে সরকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চগড়ের পাশাপাশি লালমনিরহাটেও চা বোর্ডের স্থায়ী অফিস নির্মাণ করা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, পঞ্চগড়ে আঙ্গিনায়ও চা হচ্ছে, তারা তরকারিও ফলায়, চায়ের গাছও লাগায়। চা আমাদের অর্থকরী ফসল হচ্ছে। যেটা দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে। চায়ের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে চা অনেক প্রিয়। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ গেছে, সন্ধ্যার পরে সব চা দোকানে ভিড় করে বসে থাকে। আমাদের নিজেদের চায়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। আমরা যা উৎপাদন করি তা রপ্তানির জন্য খুব বেশি একটা থাকে না। বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশি চা খেতে পছন্দ করে।

তিনি আরো বলেন, ৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন বিদ্যুৎ ছিল না। ৩/৪ ভাগ মানুষ শুধু বিদ্যুৎ পেতো। সেই সময় চা বাগানে যাতে উৎপাদন ব্যহৃত না হয়, শুধু চা বাগান নয়, আমাদের শিল্প কলকারখানা যাতে ভালো ভাবে চলে, তখন জেনারেটর উপর ট্যাক্স তুলে দিয়েছিলাম। যাতে সহজভাবে কিনতে পারে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটেগরিতে জাতীয় চা পুরস্কার পেয়েছে ৮টি কোম্পানি ও ব্যক্তি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।