০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেতু আছে, সংযোগ সড়ক নেই

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও তা এখনও চলাচলের অনুপযোগী। সংযোগ সড়কের অভাবে এমনটি হয়েছে। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে সেতুটি ব্যবহার করছে। ফলে ভাগান্তি কমছে না। দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদীর জোতবাজার খেয়াঘাটে ২০১৮ সালে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে এলজিইডি। ২১৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭ দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১৮ কোটি ৮১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

২০২৩ সালে ওই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চুক্তি অনুযায়ী এরপর সেখানে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার কথা। কিন্তু তা করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তাই বাধ্য হয়ে ওই সেতুতে যাওয়ার জন্য নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরী করেন স্থানীয়রা।

সেই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ অন্তত লক্ষাধিক বাসিন্দা সেতুতে পৌঁছান ও নদী পার হন। কিন্তু এভাবে সেতু ব্যবহার করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। তাই দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

নওগাঁ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছে, সেতুটির অসমাপ্ত কাজের পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে। দ্রুত সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হবে। সেতুটি চলাচল উপযোগী হলে এর সুফল পাবে লাখো মানুষ।

সেতু আছে, সংযোগ সড়ক নেই

আপডেট : ০১:৪২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও তা এখনও চলাচলের অনুপযোগী। সংযোগ সড়কের অভাবে এমনটি হয়েছে। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে সেতুটি ব্যবহার করছে। ফলে ভাগান্তি কমছে না। দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদীর জোতবাজার খেয়াঘাটে ২০১৮ সালে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে এলজিইডি। ২১৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭ দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১৮ কোটি ৮১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

২০২৩ সালে ওই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চুক্তি অনুযায়ী এরপর সেখানে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার কথা। কিন্তু তা করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তাই বাধ্য হয়ে ওই সেতুতে যাওয়ার জন্য নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরী করেন স্থানীয়রা।

সেই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ অন্তত লক্ষাধিক বাসিন্দা সেতুতে পৌঁছান ও নদী পার হন। কিন্তু এভাবে সেতু ব্যবহার করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। তাই দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

নওগাঁ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছে, সেতুটির অসমাপ্ত কাজের পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে। দ্রুত সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হবে। সেতুটি চলাচল উপযোগী হলে এর সুফল পাবে লাখো মানুষ।