০৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ গাছ লাগায় আর বিএনপি তা ধ্বংস করে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ গাছ লাগায় কিন্তু বিএনপি-জামায়াত তা ধ্বংস করে। বুধবার (৫ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বৃক্ষমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট এবং তার পরবর্তী দুই বছর এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়নি। ২০১৩ সালে সরকার উৎখাতের আন্দোলনের নামে মানুষকে যেমন হত্যা করা…তাছাড়া বাস, ট্রাক, গাড়ি, রেল, লঞ্চ, সেগুলো আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া আর বৃক্ষ নিধন করা হয়। লক্ষ লক্ষ বৃক্ষ কেটে ফেলে দেয় জামায়াত-বিএনপি। আমরা যেখানে গাছ লাগিয়েছে সেগুলো তারা ধ্বংস করেছে। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্যের বিষয়।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে ১৯৮৫ সাল থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা আছে তিনটি করে গাছ লাগানোর। সেই কর্মসূচি এখনো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে একটা সবুজ আচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই তিনি সেখানে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপন করেন। বৃক্ষরোপণের জন্য মানুষকে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেন। কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে যে ঝাউ বন সেটি জাতির পিতার উদ্যোগে রোপণ করা হয়। তাছাড়া আমাদের দ্বীপ অঞ্চল, বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা এবং সেখানে প্রত্যেক প্রজাতির পশুপাখি জোড়ায় জোড়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুরু করে দিয়েছিলেন।

১৯৯৬ সালের আরেকটি কাজ করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পার্বত্য এলাকা এবং চরাঞ্চলে হেলিকপ্টার দিয়ে বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এখনও আমাদের এয়ারফোর্স, নেভি, কোস্টগার্ড, আর্মি, সকলের প্রতি নির্দেশ রয়েছে প্রত্যেকের নিজের জায়গায় ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করবে। সেটা তারা করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্লাস্টিক এখনো ব্যবহার হয়, তবে একটা সুখবর হলো পাটের থেকে এমন ধরনের ব্যাগ এবং জিনিস তৈরি হচ্ছে। সেটা আমাদের একজন বিজ্ঞানী মোবারক সাহেব আবিষ্কার করেছেন। সেগুলো পরিবেশ দূষণ করবে না। এগুলো মাটির সাথে মিশে যাবে। এগুলো যাতে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হয়, ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত করা হয়েছে। পাট আমাদের সোনালী আঁশ। পাট থেকে আমরা পরিবেশবান্ধব অনেক কিছু তৈরি করতে পারি। যা আমাদের পরিবেশকে আরও সুরক্ষা দেবে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন হেক্টর উর্বর ভূমি অবক্ষয় ঘটছে। যার ফলে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ হুমকির মুখে পড়ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৫০ মিলিয়ন মানুষ বাস্তচূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ একটা ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। আমাদের ভূমি সম্পদ খুব সীমিত।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন— পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার। অনুষ্ঠান শেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২৪ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৪ উদ্বোধন করেন।

আওয়ামী লীগ গাছ লাগায় আর বিএনপি তা ধ্বংস করে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০১:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ গাছ লাগায় কিন্তু বিএনপি-জামায়াত তা ধ্বংস করে। বুধবার (৫ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বৃক্ষমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট এবং তার পরবর্তী দুই বছর এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়নি। ২০১৩ সালে সরকার উৎখাতের আন্দোলনের নামে মানুষকে যেমন হত্যা করা…তাছাড়া বাস, ট্রাক, গাড়ি, রেল, লঞ্চ, সেগুলো আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া আর বৃক্ষ নিধন করা হয়। লক্ষ লক্ষ বৃক্ষ কেটে ফেলে দেয় জামায়াত-বিএনপি। আমরা যেখানে গাছ লাগিয়েছে সেগুলো তারা ধ্বংস করেছে। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্যের বিষয়।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে ১৯৮৫ সাল থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা আছে তিনটি করে গাছ লাগানোর। সেই কর্মসূচি এখনো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে একটা সবুজ আচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই তিনি সেখানে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপন করেন। বৃক্ষরোপণের জন্য মানুষকে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেন। কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে যে ঝাউ বন সেটি জাতির পিতার উদ্যোগে রোপণ করা হয়। তাছাড়া আমাদের দ্বীপ অঞ্চল, বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা এবং সেখানে প্রত্যেক প্রজাতির পশুপাখি জোড়ায় জোড়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুরু করে দিয়েছিলেন।

১৯৯৬ সালের আরেকটি কাজ করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পার্বত্য এলাকা এবং চরাঞ্চলে হেলিকপ্টার দিয়ে বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এখনও আমাদের এয়ারফোর্স, নেভি, কোস্টগার্ড, আর্মি, সকলের প্রতি নির্দেশ রয়েছে প্রত্যেকের নিজের জায়গায় ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করবে। সেটা তারা করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্লাস্টিক এখনো ব্যবহার হয়, তবে একটা সুখবর হলো পাটের থেকে এমন ধরনের ব্যাগ এবং জিনিস তৈরি হচ্ছে। সেটা আমাদের একজন বিজ্ঞানী মোবারক সাহেব আবিষ্কার করেছেন। সেগুলো পরিবেশ দূষণ করবে না। এগুলো মাটির সাথে মিশে যাবে। এগুলো যাতে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হয়, ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত করা হয়েছে। পাট আমাদের সোনালী আঁশ। পাট থেকে আমরা পরিবেশবান্ধব অনেক কিছু তৈরি করতে পারি। যা আমাদের পরিবেশকে আরও সুরক্ষা দেবে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন হেক্টর উর্বর ভূমি অবক্ষয় ঘটছে। যার ফলে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ হুমকির মুখে পড়ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৫০ মিলিয়ন মানুষ বাস্তচূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ একটা ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। আমাদের ভূমি সম্পদ খুব সীমিত।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন— পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার। অনুষ্ঠান শেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২৪ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৪ উদ্বোধন করেন।