বিশ্বকাপে ফেবারিট দল হিসেবে খেলতে যায় পাকিস্তান। যেখানে তাদের এক সহজ প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র। অথচ কে ভেবেছে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ যাবে সুপার ওভারে! সেই ম্যাচে আবার পাকিস্তানকে হারিয়ে রূপকথার জন্ম দেবে যুক্তরাষ্ট্র! কে জানত যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে এমন নাটকীয় ক্রিকেটের প্রদর্শনী হবে!
বিশ্বকাপের ১১তম ম্যাচে আগে ব্যাট করা পাকিস্তানের ৭ উইকেটে ১৫৯ রানের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের সমীকরণটা শেষ ওভারে এসে দাঁড়ায় ১৫ রানে। শেষ বলে জিততে যুক্তরাষ্ট্রের দরকার ছিল ৫ রান। পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফের করা সেই বলে স্ট্রাইকে থাকা নীতীশ কুমার চার মারলে ম্যাচ যায় সুপার ওভারে।
ম্যাচের প্রথম ছয় ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩০ রান তুলতে পেরেছিল তারা। ম্যাচ হেরে পাওয়ারপ্লেতে বাজে ব্যাটিংকেই দুষছেন অধিনাযক বাবর আজম। বোলিংয়েও তার দল প্রথম ৬ ওভারে ভালো করতে পারেনি, মনে করছেন বাবর।
ম্যাচ হেরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথম ৬ ওভারে আমরা সেভাবে মানিয়ে নিতে পারিনি। একটার পর একটা উইকেট যাওয়াতে আমরা পিছিয়ে পড়ছিলাম। ব্যাটার হিসেবে জুটি গড়তে আপনাকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা বোলিংয়ে প্রথম ৬ ওভার খারাপ করেছি। আমাদের স্পিনাররাও উইকেট নিতে পারেনি।’
দলের সমালোচনা করলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করতে ভুলেননি বাবর, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। তারা তিনটি বিভাগেই আমাদের পরাস্ত করেছে। পিচে শুরুতে কিছুটা সুইং ছিল, তবে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এটি আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে।’