আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও’র গভর্নিং বডির পূর্ণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার (৭ ই জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১১২তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে আগামী ২০২৪-২৭ মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংস্থাটির গভর্নিং বডির সদস্য নির্বাচিত হয়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)’র পরিচালনা পর্ষদ ও নীতি নির্ধারণী ফোরাম গভর্নিং বডিতে সরকারের জন্য ২৮টি সদস্যপদ রয়েছে। যার মধ্যে ১০টি উচ্চ শিল্পগুরুত্বসম্পন্ন দেশের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
বাকি অবশিষ্ট ১৮টি সরকারি সদস্যপদের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ১৭৭টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। আন্তর্জাতিক সংস্থাটির গভর্নিং বডিতে দক্ষিণ-মধ্য এশিয়ার সাতটি দেশের জন্য একটিমাত্র সদস্যপদ বরাদ্দ রয়েছে। ফলে এই অঞ্চলের সদস্য নির্বাচনে সাধারণত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে থাকে।
তবে আজকের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে অন্যান্য সদস্যপদপ্রত্যাশী দেশগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করে এবং দক্ষিণ-মধ্য এশিয়া অঞ্চল থেকে একমাত্র সদস্যপদ প্রার্থী হিসেবে নাম উত্থাপন করেছে।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে মোট ৪টি দেশ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। ইতোপূর্বে বাংলাদেশ ১৯৯৬-৯৯ ও ২০০৮-১১ মেয়াদে সংস্থাটির গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল। এ সদস্যপদ লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশ সংস্থাটির নীতি নির্ধারণ ও পরিচালনায় কার্যকর অবদান রাখা এবং সংস্থাটির ত্রিপক্ষীয় অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সুযোগ পাবে বলে আশা করা যায়।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি সম্মেলনস্থলে উপস্থিত থেকে ভোটগ্রহণ প্রত্যক্ষ করেন এবং কূটনৈতিক সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জেনেভা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।