০৩:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান

রাজধানীর কদমতলীর দনিয়া এলাকায় জাল মুদ্রা তৈরির কারখানার সন্ধান মিলেছে। সেখান থেকে জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্রের মূল হোতা, ক্রেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার (৮ জুন) সকালে ডিবি লালবাগ বিভাগ অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি দেড় কোটি জাল নোট এবং ভারতীয় জাল রুপি ও জাল নোট তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করে।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, চক্রের প্রধান লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির ওরফে গুরু জাকির (৪০), তার দ্বিতীয় স্ত্রী মমতাজ বেগম (২৫), লিমা আক্তার রিনা (৪০) ও সাজেদা আক্তার (২৮)।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, কোরবানির ঈদ ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল টাকা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। ঈদ ঘিরে এরইমধ্যে প্রায় দুই কোটির টাকার জাল নোট মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। কিছু টাকা পাইকারি পর্যায়ে বিক্রিও করেছে চক্রের হোতা লেকায়ত হোসেন জাকির। এ কাজে তার অভিজ্ঞতা ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের। গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত আটবার। প্রতিবার বের হয়ে একই পেশায় যুক্ত হন তিনি।

ডিবি পুলিশ বলছে, ঈদুল আজহাকে টার্গেট করে চক্রটি বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঢাকায় তৈরি এই জাল নোট বিক্রির জন্য যোগাযোগ হতো অনলাইনে আর লেনদেন হতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। লেনদেনের পর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো হয় জাল নোট। যার বেশিরভাগ এবার যাচ্ছে মফস্বলে। টার্গেট কোরবানির পশুর হাট।

অভিযান সম্পর্কে ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, অভিযানে দুটি বাসা থেকে প্রায় সোয়া এক কোটি টাকা এবং আরও প্রায় তিন কোটি জাল টাকা তৈরির মতো বিশেষ কাপড়/কাগজ, বিশেষ ধরনের কালি, ল্যাপটপ, চারটি প্রিন্টার, বিভিন্ন সাইজের কয়েক ডজন স্ক্রিন/ডাইস, সাদা কাগজ, হিটার মেশিন, নিরাপত্তা সুতাসহ জাল টাকার হরেক রকম মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০০, ৫০০, এক হাজার টাকার জাল নোট ও ভারতীয় ৫০০ রুপির বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

জাকিরের সহযোগী রুমানা ইসলাম জানান, এর আগে একাধিকবার জেল খেটেছেন মাদক মামলায়। জেলে থাকাবস্থায় জাল নোট তৈরি ও সরবরাহকারী চক্রের সঙ্গে পরিচয়ের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্ত হন জাল নোটের কারবারের সঙ্গে। মাত্র ১৫ দিন আগেও জাকিরের থেকে ৫০ লাখ টাকার জাল নোট সংগ্রহ করে বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

ডিসি মশিউর রহমান জানান, জাকিরের অধীন অন্তত ১৫ জন পুরুষ ও মহিলা জাল নোট ছড়িয়ে দেয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। যাদের প্রতি মাসে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা বেতন দেন জাকির। এ ধরনের অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

রাজধানীতে জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান

আপডেট : ০৮:১৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

রাজধানীর কদমতলীর দনিয়া এলাকায় জাল মুদ্রা তৈরির কারখানার সন্ধান মিলেছে। সেখান থেকে জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্রের মূল হোতা, ক্রেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার (৮ জুন) সকালে ডিবি লালবাগ বিভাগ অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি দেড় কোটি জাল নোট এবং ভারতীয় জাল রুপি ও জাল নোট তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করে।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, চক্রের প্রধান লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির ওরফে গুরু জাকির (৪০), তার দ্বিতীয় স্ত্রী মমতাজ বেগম (২৫), লিমা আক্তার রিনা (৪০) ও সাজেদা আক্তার (২৮)।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, কোরবানির ঈদ ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল টাকা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। ঈদ ঘিরে এরইমধ্যে প্রায় দুই কোটির টাকার জাল নোট মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। কিছু টাকা পাইকারি পর্যায়ে বিক্রিও করেছে চক্রের হোতা লেকায়ত হোসেন জাকির। এ কাজে তার অভিজ্ঞতা ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের। গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত আটবার। প্রতিবার বের হয়ে একই পেশায় যুক্ত হন তিনি।

ডিবি পুলিশ বলছে, ঈদুল আজহাকে টার্গেট করে চক্রটি বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঢাকায় তৈরি এই জাল নোট বিক্রির জন্য যোগাযোগ হতো অনলাইনে আর লেনদেন হতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। লেনদেনের পর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো হয় জাল নোট। যার বেশিরভাগ এবার যাচ্ছে মফস্বলে। টার্গেট কোরবানির পশুর হাট।

অভিযান সম্পর্কে ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, অভিযানে দুটি বাসা থেকে প্রায় সোয়া এক কোটি টাকা এবং আরও প্রায় তিন কোটি জাল টাকা তৈরির মতো বিশেষ কাপড়/কাগজ, বিশেষ ধরনের কালি, ল্যাপটপ, চারটি প্রিন্টার, বিভিন্ন সাইজের কয়েক ডজন স্ক্রিন/ডাইস, সাদা কাগজ, হিটার মেশিন, নিরাপত্তা সুতাসহ জাল টাকার হরেক রকম মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০০, ৫০০, এক হাজার টাকার জাল নোট ও ভারতীয় ৫০০ রুপির বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

জাকিরের সহযোগী রুমানা ইসলাম জানান, এর আগে একাধিকবার জেল খেটেছেন মাদক মামলায়। জেলে থাকাবস্থায় জাল নোট তৈরি ও সরবরাহকারী চক্রের সঙ্গে পরিচয়ের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্ত হন জাল নোটের কারবারের সঙ্গে। মাত্র ১৫ দিন আগেও জাকিরের থেকে ৫০ লাখ টাকার জাল নোট সংগ্রহ করে বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

ডিসি মশিউর রহমান জানান, জাকিরের অধীন অন্তত ১৫ জন পুরুষ ও মহিলা জাল নোট ছড়িয়ে দেয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। যাদের প্রতি মাসে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা বেতন দেন জাকির। এ ধরনের অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।