ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গুলশান ডিপ্লোম্যাটিক জোনে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
  • / ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বারিধারার ডিপ্লোম্যাটিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের পাশে দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আলী ও মনিরুল ইসলাম। দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই কনস্টেবল মনিরুলকে এলোপাতাড়ি গুলি করেন কাউসার। বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মনিরুল। আহত হন জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখ।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত পুলিশ সদস্যকে ৫–৬ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। নিহত পুলিশ সদস্যের মরদেহ কিছুক্ষণ আগে ফিলিস্তিন দূতাবাসের পাশ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে, ওই পুলিশ সদস্য কেন কী কারণে তার সহকর্মীকে গুলি করেছেন সেটা জানা যায়নি।

জানা যায়, এসময় আরেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এক সাইকেল আরোহী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, মনিরুলকে গুলি করে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে এসে দাঁড়ায় কাউসার। তখনও সে অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। মনিরুল কেনো রাস্তায় পড়ে আছে জানতে চাইলে কাউসার জানায়, সে নাটক করতেছে। এরপর কাউসার দূতাবাসের প্রধান ফটকের উল্টো পাশের সড়কে চলে যায়। পরে ঘটনা বুঝতে পেরে নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময়ে তাঁরা ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখকে ভর্তি করা হয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সাজ্জাদ শেখের এক স্বজন বলেন, সাজ্জাদের হাতে ও পেটে গুলি লেগেছে। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন।

এদিকে, কনস্টেবল মনিরুলকে হত্যার ঘটনার রাতেই গুলশান থানায় মামলা করেন তাঁর বড়ভাই মাহবুব। গুলশান থানা-পুলিশ মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে এসেছে পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তাসহ ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশিদ, সোয়াটের সদস্য এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

রাজধানীর সবচেয়ে সুরক্ষিত ওই ডিপ্লোম্যাটিক জোনে এ ঘটনা ঘটারপর চারিদিক থেকে ওই এলাকা চলাচল সংরক্ষিত করা হয়েছে এবং ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গুলশান ডিপ্লোম্যাটিক জোনে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

আপডেট সময় : ১২:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

বারিধারার ডিপ্লোম্যাটিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের পাশে দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আলী ও মনিরুল ইসলাম। দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই কনস্টেবল মনিরুলকে এলোপাতাড়ি গুলি করেন কাউসার। বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মনিরুল। আহত হন জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখ।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত পুলিশ সদস্যকে ৫–৬ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। নিহত পুলিশ সদস্যের মরদেহ কিছুক্ষণ আগে ফিলিস্তিন দূতাবাসের পাশ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে, ওই পুলিশ সদস্য কেন কী কারণে তার সহকর্মীকে গুলি করেছেন সেটা জানা যায়নি।

জানা যায়, এসময় আরেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এক সাইকেল আরোহী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, মনিরুলকে গুলি করে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে এসে দাঁড়ায় কাউসার। তখনও সে অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। মনিরুল কেনো রাস্তায় পড়ে আছে জানতে চাইলে কাউসার জানায়, সে নাটক করতেছে। এরপর কাউসার দূতাবাসের প্রধান ফটকের উল্টো পাশের সড়কে চলে যায়। পরে ঘটনা বুঝতে পেরে নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময়ে তাঁরা ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখকে ভর্তি করা হয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সাজ্জাদ শেখের এক স্বজন বলেন, সাজ্জাদের হাতে ও পেটে গুলি লেগেছে। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন।

এদিকে, কনস্টেবল মনিরুলকে হত্যার ঘটনার রাতেই গুলশান থানায় মামলা করেন তাঁর বড়ভাই মাহবুব। গুলশান থানা-পুলিশ মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে এসেছে পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তাসহ ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশিদ, সোয়াটের সদস্য এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

রাজধানীর সবচেয়ে সুরক্ষিত ওই ডিপ্লোম্যাটিক জোনে এ ঘটনা ঘটারপর চারিদিক থেকে ওই এলাকা চলাচল সংরক্ষিত করা হয়েছে এবং ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।