মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষকে ঋণে ডোবাতেই জনবিরোধী বাজেট দিয়েছে সরকার। জনগণের ওপর ঋণের বোঝা দিতে চাইতো না বলেই বিএনপির বাজেট ছোট ছিল। রোববার (৯ জুন) প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্রকে সমূলে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ এখন মুখে গণতন্ত্রের বুলি আওড়াচ্ছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, বিরোধী দল, গণতন্ত্র সবকিছুকেই দেউলিয়া করেছে ক্ষমতাসীনরা। এখন কোন সাহসে আওয়ামী লীগ নেতারা গণতন্ত্রের কথা বলেন?
তিনি আরও বলেন, চলমান আন্দোলনে বিএনপির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে এমন ব্যক্তিদের নির্যাতন করছে, একদলীয় শাসন কায়েম করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। এ সময় জিয়াউর রহমানের দীক্ষা কাজে লাগিয়ে দেশকে বাঁচানোর লড়াইয়ে আন্দোলন বেগবান করার আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের রসায়ন হচ্ছে চুরি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস। এখন তো দেখছেন চুরি, দুর্নীতি কীভাবে হচ্ছে। এতো চুরি যে, ওই সময়ে তাদের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন যে, ‘অন্য নেতারা দেশে পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।’ এটা তার আক্ষেপের কথা। এরা সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশটাকে ওরা জাহান্নামে নিয়ে গেছে। এর চেয়ে খারাপ কিছু কী হতে পারে। সমস্ত সুন্দর তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পিতভাবে সব জায়গায় যেন নেতৃত্ব সৃষ্টি না হয় সেই ব্যবস্থা সরকার করেছে। আর নেতৃত্ব তৈরি হবেও বা কীভাবে? ছাত্র সংসদের নির্বাচন নেই, ডাকসুর নির্বাচন নেই, কোথাও নির্বাচন নেই।
ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সাবেক সাংসদ ফজলুল হক মিলন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, ইউট্যাবের অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক আবদুর রশীদ, অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক আখতার হোসেন, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক আলীমুর রহমান, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।