বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে হাসি পায়: কাদের
- আপডেট সময় : ০১:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
- / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে
২৮ অক্টোবরের ব্যর্থতার পর বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে হাসি পায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার (৯ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে পালানোর হুমকি দিয়ে বিএনপি নিজেরাই পালিয়ে গেছে। ২৮ অক্টোবর লাশের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছিলো বিএনপি। সেজন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আর আন্দোলন করতে পারবে না, কারণ বিএনপির আন্দোলনে জনগণের সমর্থন নেই। বিএনপির হুমকি মোকাবিলায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে সবসময় মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে সীমান্তে হত্যা বেশি হয়েছে। কালোটাকা সাদা খালেদা জিয়াও করেছেন। রাঘব বোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য বাজেট করা হয়েছে। অন্ধকার কবর থেকে আলোর পথ দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিএনপির দলীয় নেতাদের বিচার করার সাহস ছিল না। আওয়ামী লীগ করেছে। আজিজ-বেনজীররা দুর্নীতি করে ছাড় পাবে না। তারা আওয়ামী লীগের কেউ না।
তিনি বলেন, বিএনপি যখন আন্দোলনের কথা বলে তখন হাসি পায়। বিএনপি আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে নিজেরাই পল্টন থেকে পালিয়ে যায়। বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ডিবি অফিসে কোরাল মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে কোথায় যে চলে গেলেন! ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের আন্দোলনের সময় অফিসগুলো সরগরম ছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি আন্দোলন করেছিল। তাদের আন্দোলন মানে সন্ত্রাস। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছিল। আমরা আন্দোলন ভয় পাই না। ভয় পাই আগুন সন্ত্রাস। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গৃহীত কর্মসূচি দেশের ওয়ার্ড পর্যায় থেকে পালন করা হবে। ২৩ জুন সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, জেলা আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদবৃন্দ।