আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
ইউরোপজুড়ে অনুষ্ঠিত হল চারদিন ব্যাপী ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট নির্বাচন। ৭২০ আসনের জন্য ভোট দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ভুক্ত দেশগুলোর প্রায় সাড়ে ৩৭ কোটি মানুষ। এরই মধ্যে বুথ ফেরত জরিপ আসতে শুরু করেছে। এতে দেখা যায়, সার্বিকভাবে এ নির্বাচনে ভালো করেছে ডানপন্থী দলগুলো এবং মধ্যপন্থী, উদার ও গ্রিন পার্টিগুলো ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে আছে।
বুথফেরত জরিপ বলছে, এই নির্বাচনের দুলগুলোর মধ্যে বরাবরের মত এগিয়ে ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টি, ১৮০টি আসন পেতে পারে। মধ্য-বাম প্রগতিশীল জোট অফ সোশ্যালিস্ট এবং ডেমোক্র্যাট ১৩৮টি আসন পেতে পারে। উদার ও মধ্যপন্থি রিনিউ ইউরোপ পাবে ৮৬টি আসন। এছাড়া ইউরোপীয় রক্ষণশীল ও সংস্কারবাদীরা-ইসিআর পেতে পারে ৭৫ আসন। তবে আইডেন্টিটি অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি আসন ৮৪ থেকে নেমে ৬৮ এ আসতে পারে। অন্যান্য ছোট দলগুলো ১৭৩ আসন পেতে পারে।
বুথ ফেরত জরিপে দেখা যাচ্ছে ৭২০ আসনের এই পার্লামেন্টে মধ্যপন্থী, উদার ও সমাজতান্ত্রিক দলগুলো মিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে যাচ্ছে। কিন্তু ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রিয়ার নেতাদের জন্য এই নির্বাচনের ফলাফল একটা বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে।
ফ্রান্সে ডানপন্থী মেরিন লে পেন প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল র্যালি পেতে যাচ্ছে প্রায় ৩৩ শতাংশ ভোট। দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর রেনেসাঁ পার্টি পেতে যাচ্ছে ১৫ শতাংশ ভোট। এই ফলাফল দেখে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিয়ে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন ম্যাখোঁ।
ম্যাক্রোঁর মতো জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের জন্যও এই নির্বাচন দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে। নির্বাচনে তার সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি মোটেও ভালো ফল করেনি। অতি ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।
অস্ট্রিয়ায় অতি ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি প্রায় ২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল পিপলস পার্টি ২৪ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
অবশ্য ভালো ফল করেছে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ব্রাদার্স অব ইতালি। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থীদের উত্থানকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য কোটা নির্ধারিত হয় দেশগুলোর লোকসংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী। এই পার্লামেন্টের সদস্যরা সব সময় পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
