সব ব্যাংক এখন খালি, লুট করা হয়েছে : রিজভী
- আপডেট সময় : ১০:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
- / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংক এখন খালি বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সব ব্যাংকের টাকা লুট করা হয়েছে। ব্যাংকে গিয়ে দেখবেন শুধু চেয়ার টেবিল পড়ে আছে। সারা বাংলাদেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান শেষ করে দিয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের সামনে শ্রমিক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতারণার শিকার হয়ে মালয়েশিয়াগামী শ্রমিক সোহেল তানভীরের আত্মহত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শ্রমিক দল।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এক দম বন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছি। একদিকে সরকারি আক্রমণ, একদিকে গুম-খুন-ক্রসফায়ার, আরেক দিকে ক্ষুধা দারিদ্র্যতায়, বঞ্চনায় মানুষ আত্মহত্যা করছে। পিতা-মাতারা তার সন্তান বিক্রি করছে। এই উপহার দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়েছে— যারা মালয়েশিয়া যাবেন তাদের লাগবে ৭৮ হাজার পাঁচশ টাকা। অথচ দুষ্টচক্র ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। একদিকে ছাড়পত্র হয়েছে, পাসপোর্ট হয়েছে, সব প্রস্ততি শেষ হওয়ার পরও আজকে হাজার হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। বাংলাদেশের এই যে চক্র তারা কারা? তারা প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোক।
তিনি আরও বলেন, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, নিজাম হাজারি, সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের পরিবার; তারা বাংলাদেশের ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, তারাই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। মানুষের জায়গা, জমি, গহনা, সহায় সম্বল বিক্রি করে যে ছেলেটি মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। তিনি ভৈরব ব্রিজ থেকে মেঘনা নদীতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ বাড়িতে গিয়ে তার তো কিছু করার ছিল না। জায়গা জমি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে সে আত্মাহুতি দিয়েছে। এটিই হলো শেখ হাসিনার উপহার। ১৬ বছর ধরে এভাবে তারা গোটা দেশের জনগণকে প্রতারিত করছে। এভাবে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শেষ করে দিয়েছে সরকার।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইঁয়া, ব্যাংকিং বিষয়ক সম্পাদক লায়ন হারুনুর রশিদ, মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।