টিকে গেল কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ
- আপডেট সময় : ০৪:৪৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
- / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে ভোটে কোনো খরচ হয়নি বলে দাবি করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। নির্বাচন কমিশনে এই রাজনৈতিক দলের প্রধানের বক্তব্য মেনে নিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। যার ফলে ভোটে ব্যয় বিবরণী জমা না দেওয়ায় নিবন্ধন বাতিলের ঝুঁকিতে পড়া দলটি তা থেকে মুক্ত হলো।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ আরিপিও অনুযায়ী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দলীয় কোনো খরচ হয় নাই দাবি করে দলটির সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা জানিয়ে দিয়েছি আমাদের কোনো খরচ হয় নাই। আমরা প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র না। যে আমাদের পড়ার হিসাব দিতে হবে। একটা দূরুত্ব ছিল। তারা হয়তো আমাদের লেখা স্পষ্ট করে বুঝতে পারিনি। অথবা আমরা তাদের বুঝাতে পারিনি এটা মিটে গেছে।
বহুদিন পরে আজকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ খুশি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের কথাবার্তার মধ্যে অনেক ম্যাচুয়িরিটি লক্ষ্য করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমারা হিসাব দেইনি। আমাদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে। দেশে অনেক কিছু হয়। আমরা খরচ করিনি হিসাব দেইনি। আমরা একটা নিবন্ধিত দল। যে দলের ৮০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশে সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করলে দেশের কতটা সুনাম হবে। নির্বাচন কমিশনের কতটা সুনাম হবে এটা ভেবে দেখা দরকার।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে যথেষ্ট খুশি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে যে ভুল ত্রুটি আছে তারা যাতে এগুলো দূর করতে পারে। সেজন্য যদি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে তাহেলে যথেষ্ট। তাদের এই সময়ের অভিজ্ঞতা তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে।
একই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আজকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের একটি প্রতিনিধি দল এখানে এসেছিলেন। নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল; বিশেষ করে তাদের যে নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে, তাদের ব্যয় বিবরণী জানতে চেয়েছিলাম। এটা আইনের বিধান রয়েছে।আরপিও অনুযায়ী দলগতভাবে যে ব্যয় করতে হয় তার একটা হিসাব দিতে হয়।
তিনি বলেন, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী তারা ৮ মে যেটা জমা দিয়েছেন ওটাই তাদের ব্যয় বিবরণী। সেটা ব্যয় বিবরণী ফর্মে দেওয়া হয়েছিল না। পরবর্তী সময়ে তাদের চিঠি দিয়েছিলাম। এখন এই বিষয়টা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এটা গ্রহণ করেছে। ওইটাকে ব্যয় বিবরণী হিসেবে ধরা হয়েছে। সেটার সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আরো একটা ব্যয় বিবরণী বিস্তারিতভাবে জমা দিয়ে দেবে।