ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
  • / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সোমবার (১০ জুন) ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৪টি, ভোটদানে বিরত ছিল রাশিয়া।

নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

মঙ্গলবার (১১ জুন) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বন্দিদের বিনিময় এবং গাজার পুনর্গঠনকে তারা স্বাগত জানায়। কীভাবে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক হামাস। সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৪টি। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল রাশিয়া।

ইসরাইল ও হামাসকে অবিলম্বে এই প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত। একে নতুন সুযোগ বলেও অবিহিত করা হয়। এদিকে, এই প্রস্তাবে রাজি করাতে হামাসের ওপর চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। আবারও মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন এই নেতা। সোমবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। গত ৩১ মে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই প্রস্তাবের মূল কথা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি, আর ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া। প্রথম ধাপে হবে জিম্মি ও বন্দি বিনিময় এবং সাময়িক যুদ্ধবিরতি। দ্বিতীয় ধাপে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া। গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সরিয়ে নেওয়া। আর তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর বাস্তুহারা হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস

আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সোমবার (১০ জুন) ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৪টি, ভোটদানে বিরত ছিল রাশিয়া।

নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

মঙ্গলবার (১১ জুন) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বন্দিদের বিনিময় এবং গাজার পুনর্গঠনকে তারা স্বাগত জানায়। কীভাবে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক হামাস। সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৪টি। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল রাশিয়া।

ইসরাইল ও হামাসকে অবিলম্বে এই প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত। একে নতুন সুযোগ বলেও অবিহিত করা হয়। এদিকে, এই প্রস্তাবে রাজি করাতে হামাসের ওপর চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। আবারও মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন এই নেতা। সোমবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। গত ৩১ মে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই প্রস্তাবের মূল কথা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি, আর ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া। প্রথম ধাপে হবে জিম্মি ও বন্দি বিনিময় এবং সাময়িক যুদ্ধবিরতি। দ্বিতীয় ধাপে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া। গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সরিয়ে নেওয়া। আর তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর বাস্তুহারা হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।