১১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সাকিবের লজ্জা হওয়া উচিৎ, টি-টোয়েন্টি দলে সে থাকে কিভাবে?’

বয়স বিবেচনায় বাংলাদেশ দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তার সুসময়ের অবদানের কথা সবাই অনেকদিন মনে রাখবে। কিন্তু এই ফর্মহীন সাকিবের টি-টোয়েন্টি দলে থাকা নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন। বিশেষ করে ব্যাটে-বলে একেবারেই যেন বেমানান সাকিব। তাকে নিয়ে সমালোচনা করছেন কিংবদন্তীরাও।
ভারতের সাবেক ড্যাশিং ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ তো বলেই দিয়েছেন, ‘তার এই স্কোরগুলোর জন্য তাকে লজ্জিত হওয়া উচিৎ। এমনকি তার বোঝা উচিৎ টি-টোয়েন্টিতে তার আর দেওয়ার কিছু নেই এবং অবসরের ঘোষণা দেয়া উচিৎ।’

মূলত বিশ্বকাপে প্রথম দুটি ম্যাচে একেবারেই বিবর্ণ সাকিব। আগের ম্যাচে বল হাতে ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়েও কোনো উইকেট পাননি। ব্যাট হাতে ১৪ বলে করেন ৮ রান। আর গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাত্র ৩ রান করে বিদায় নেন।

দলের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কাণ্ডজ্ঞানহীন শট খেলেই আউট হয়েছিলেন সাকিব। যার কারণে শেষপর্যন্ত ম্যাচই হেরে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এমন হার হজম হচ্ছে না বীরেন্দর শেবাগের। এ কারণে তিনি বলেন, ‘কিছু সময় তো অন্তত উইকেটে কাটাও। তুমি ম্যাথু হেইডেন বা গিলক্রিস্ট নও যে শর্ট বল দেখলেই ঘুরে যাও, পুল শট খেলো। তুমি বাংলাদেশের খেলোয়াড়। নিজের সীমাবদ্ধতা বোঝো। হুক, পুল তোমার জন্য না। যেগুলো তোমার শট সেগুলোই খেলো। ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে যে খেলছে তার খেলাটার বেসিক জ্ঞ্যান থাকা উচিত।’

শেবাগ আরও বলেন, গত বিশ্বকাপেই আমার মনে হয়েছিল সাকিবকে আর টি-টোয়েন্টি খেলানো উচিত নয়। মাঝখানে ও নিষিদ্ধও হয়েছিল। ওই সময় আমার মনে হয়েছিল, ব্যান হয়েছে, আবারও ফিরবে নাকি না। তারপরে ও কামব্যাক করেছে। কিন্তু তেমন ভালো কিছুই নয়। আপনি এত সিনিয়র খেলোয়াড়, আপনি এত বছর অধিনায়কও ছিলেন। আপনার নিজেরই লজ্জা হওয়া উচিত। নিজেরই বলা উচিত, আমি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়ে নেবো। এখন নির্বাচকদেরই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার মনে হয় না এই বিশ্বকাপের পর সাকিবের খেলা উচিত বা সাকিবকে খেলানো উচিত।’

ম্যাচ শেষে ভারতীয় ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অনুভূতি এভাবেই তুলে ধরেন শেবাগ।

‘সাকিবের লজ্জা হওয়া উচিৎ, টি-টোয়েন্টি দলে সে থাকে কিভাবে?’

আপডেট : ০৪:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

বয়স বিবেচনায় বাংলাদেশ দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তার সুসময়ের অবদানের কথা সবাই অনেকদিন মনে রাখবে। কিন্তু এই ফর্মহীন সাকিবের টি-টোয়েন্টি দলে থাকা নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন। বিশেষ করে ব্যাটে-বলে একেবারেই যেন বেমানান সাকিব। তাকে নিয়ে সমালোচনা করছেন কিংবদন্তীরাও।
ভারতের সাবেক ড্যাশিং ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ তো বলেই দিয়েছেন, ‘তার এই স্কোরগুলোর জন্য তাকে লজ্জিত হওয়া উচিৎ। এমনকি তার বোঝা উচিৎ টি-টোয়েন্টিতে তার আর দেওয়ার কিছু নেই এবং অবসরের ঘোষণা দেয়া উচিৎ।’

মূলত বিশ্বকাপে প্রথম দুটি ম্যাচে একেবারেই বিবর্ণ সাকিব। আগের ম্যাচে বল হাতে ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়েও কোনো উইকেট পাননি। ব্যাট হাতে ১৪ বলে করেন ৮ রান। আর গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাত্র ৩ রান করে বিদায় নেন।

দলের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কাণ্ডজ্ঞানহীন শট খেলেই আউট হয়েছিলেন সাকিব। যার কারণে শেষপর্যন্ত ম্যাচই হেরে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এমন হার হজম হচ্ছে না বীরেন্দর শেবাগের। এ কারণে তিনি বলেন, ‘কিছু সময় তো অন্তত উইকেটে কাটাও। তুমি ম্যাথু হেইডেন বা গিলক্রিস্ট নও যে শর্ট বল দেখলেই ঘুরে যাও, পুল শট খেলো। তুমি বাংলাদেশের খেলোয়াড়। নিজের সীমাবদ্ধতা বোঝো। হুক, পুল তোমার জন্য না। যেগুলো তোমার শট সেগুলোই খেলো। ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে যে খেলছে তার খেলাটার বেসিক জ্ঞ্যান থাকা উচিত।’

শেবাগ আরও বলেন, গত বিশ্বকাপেই আমার মনে হয়েছিল সাকিবকে আর টি-টোয়েন্টি খেলানো উচিত নয়। মাঝখানে ও নিষিদ্ধও হয়েছিল। ওই সময় আমার মনে হয়েছিল, ব্যান হয়েছে, আবারও ফিরবে নাকি না। তারপরে ও কামব্যাক করেছে। কিন্তু তেমন ভালো কিছুই নয়। আপনি এত সিনিয়র খেলোয়াড়, আপনি এত বছর অধিনায়কও ছিলেন। আপনার নিজেরই লজ্জা হওয়া উচিত। নিজেরই বলা উচিত, আমি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়ে নেবো। এখন নির্বাচকদেরই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার মনে হয় না এই বিশ্বকাপের পর সাকিবের খেলা উচিত বা সাকিবকে খেলানো উচিত।’

ম্যাচ শেষে ভারতীয় ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অনুভূতি এভাবেই তুলে ধরেন শেবাগ।