শিশুশ্রমমুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য : আইএলও
- আপডেট সময় : ১২:১০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
- / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে
শিশুশ্রম প্রতিরোধে ঝুঁকিপূর্ণ খাতে শিশুশ্রম নির্মূলসহ বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক সংস্থা আইএলও।
বুধবার(১২ইজুন) প্রকাশিত এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৬ কোটি শিশু শিশুশ্রমে জড়িত। এর মধ্যে প্রায় আট কোটিই বিপজ্জনক কাজের সাথে জড়িত যা তাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং নৈতিক বিকাশকে হুমকির মুখে ফেলে। আইএলও বলছে, শিশুশ্রম একটি উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক সমস্যা। যা শিশুদের অধিকার লঙ্ঘন করে এবং তাদের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে।
তবে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিপব্রেকিং, গ্লাস, সিরামিক এবং ট্যানারিসহ ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ খাতে শিশুশ্রম নির্মূলসহ বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। কর্মক্ষেত্রগুলি নিরাপদ এবং শিশু শ্রম মুক্ত করতে বিভিন্ন কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিভাগ তাদের কার্যক্রম জোরদার করার জন্য একটি ডিজিটাল পরিদর্শন ব্যবস্থাও চালু করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
২০২৫ সালের মধ্যে সকল প্রকার শিশুশ্রম বন্ধ করতে বাধ্যতামূলক শিক্ষা ও শিশুদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে শ্রম আইন সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
আইএলও- এর সুপারিশগুলো হচ্ছে:
. শিশুদের কর্মসংস্থানের জন্য শ্রম আইন সংশোধন এবং বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ শনাক্তকরণ। শিশু গৃহকর্মীদের শোষণ এবং অন্যান্য ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে তাদের আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা
. বাধ্যতামূলক শিক্ষার জন্য কম ক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৪ নির্ধারণ এবং জাতীয় শিক্ষানীতিতে বাধ্যতামূলক শিক্ষার মানদণ্ড হিসেবে অষ্টম শ্রেণী নির্ধারণ
. পিতামাতা এবং শিশুদের জন্য শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করা যাতে পরিবারগুলিকে শিশুদের আয়ের উপর নির্ভর করতে না হয়
শিশু পাচার, পতিতাবৃত্তি এবং পর্নোগ্রাফিসহ সবচেয়ে খারাপ ধরণের শিশুশ্রম নির্মূল করতে সরকারের সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা।