০১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি বাড়াবে, শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • ৩৩ দেখেছেন

প্রস্তাবিত বাজেট দিয়ে আগামী অর্থবছরে নিত্যপণ্যের দর কমানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। পাশাপাশি এই অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমার চেয়ে বাড়ার আশঙ্কা বেশি বলে মনে করছেন তারা। ইআরএফ আয়োজিত বাজেট পরবর্তী এক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাজেটের স্লোগানে যেসব বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, বাজেটে তার প্রতিফলন কম।’

আগামী অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্য পূরণে প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ করের ওপর বেশি নির্ভর করতে হবে সরকারকে। তাতে মূল্যস্ফীতি কমার চেয়ে বাড়ার শঙ্কা বেশি। এছাড়া এনবিআরের রাজস্ব আহরণের আকার প্রতিনিয়ত বাড়ানো হলেও করজাল খুব একটা বিস্তৃত করা যায়নি। একইসঙ্গে কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না কর ফাঁকিও।

আজ (বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত বাজেট পরবর্তী আলোচনায় এমন প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন দেশের অর্থনীতিবিদরা।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে ৩২ বিলিয়ন ডলারের যে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, তা ডলারের বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক একে এনামুল হক বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকটের এই মুহূর্তে আর্থিক খাতে ব্যাপক সংস্কার দরকার। বিশেষ করে ব্যাংক খাতকে সংস্কার করতে না পারলে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা আরও বাড়বে। আর বিনিয়োগকে সহজ করতে বাজেটে নীতি সহায়তা জরুরি।’

বাজেটের স্লোগানে যেসব বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বাজেটে তার কোন প্রতিফলন নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘এখানে কেউ সুখে নেই। করের বোঝা বেড়েছে, কর্মসংস্থান কম, আয়ের উৎস নেই, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার লাভ করছে না। এগুলোতে গুরুত্বের খুব দরকার ছিল। মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও জ্বালানি বিদেশি বিনিয়োগের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

ইন্টারনেট, মোবাইল, প্রযুক্তিগত ইন্সট্রুমেন্ট এর উপরে ট্যাক্স বসিয়ে দেশকে স্মার্ট বানানো সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।

নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি বাড়াবে, শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের

আপডেট : ০৭:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

প্রস্তাবিত বাজেট দিয়ে আগামী অর্থবছরে নিত্যপণ্যের দর কমানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। পাশাপাশি এই অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমার চেয়ে বাড়ার আশঙ্কা বেশি বলে মনে করছেন তারা। ইআরএফ আয়োজিত বাজেট পরবর্তী এক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাজেটের স্লোগানে যেসব বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, বাজেটে তার প্রতিফলন কম।’

আগামী অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্য পূরণে প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ করের ওপর বেশি নির্ভর করতে হবে সরকারকে। তাতে মূল্যস্ফীতি কমার চেয়ে বাড়ার শঙ্কা বেশি। এছাড়া এনবিআরের রাজস্ব আহরণের আকার প্রতিনিয়ত বাড়ানো হলেও করজাল খুব একটা বিস্তৃত করা যায়নি। একইসঙ্গে কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না কর ফাঁকিও।

আজ (বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত বাজেট পরবর্তী আলোচনায় এমন প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন দেশের অর্থনীতিবিদরা।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে ৩২ বিলিয়ন ডলারের যে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, তা ডলারের বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক একে এনামুল হক বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকটের এই মুহূর্তে আর্থিক খাতে ব্যাপক সংস্কার দরকার। বিশেষ করে ব্যাংক খাতকে সংস্কার করতে না পারলে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা আরও বাড়বে। আর বিনিয়োগকে সহজ করতে বাজেটে নীতি সহায়তা জরুরি।’

বাজেটের স্লোগানে যেসব বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বাজেটে তার কোন প্রতিফলন নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘এখানে কেউ সুখে নেই। করের বোঝা বেড়েছে, কর্মসংস্থান কম, আয়ের উৎস নেই, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার লাভ করছে না। এগুলোতে গুরুত্বের খুব দরকার ছিল। মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও জ্বালানি বিদেশি বিনিয়োগের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

ইন্টারনেট, মোবাইল, প্রযুক্তিগত ইন্সট্রুমেন্ট এর উপরে ট্যাক্স বসিয়ে দেশকে স্মার্ট বানানো সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।