০১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় গ্রিক জাহাজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

লোহিত সাগরে গ্রিসের মালিকানাধীন একটি পণ্যবাহী জাহাজে হামলা হয়েছে। হামলায় কারণে জাহাজটিতে পানি উঠে পড়ে। এমনকি পরে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি উদ্ধার করতে হয়েছে। ইতিমধ্যে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হুতি। খবর রয়টার্সের।

হুতি বিদ্রোহীরা বলেছে, হামলার শিকার জাহাজটির নাম টিউটর। এটি একটি কয়লাবাহী জাহাজ। মনুষ্যবিহীন সারফেস বোট, ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করা হলে জাহাজটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এই হামলার বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, মনুষ্যবিহীন সারফেস বোটের আঘাতে জাহাজে পানি উঠে পড়ে। এর ইঞ্জিন রুমেরও ক্ষতি হয়েছে।

এর আগে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সমুদ্র নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা ইউকেএমটিও জানায়, বুধবার (১২ জুন) হুতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা বন্দরের প্রায় ৬৬ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি জাহাজ আঘাত হানার খবর পেয়েছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রিক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আকাশ ও সমুদ্রপথে জাহাজে দুবার হামলা হয়েছে। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভারতে যাওয়ার পথে জাহাজটিতে হামলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮০ হাজারের বেশি মানুষ।

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালি এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে আসছে হুতিরা। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ হলেই এসব জাহাজে আক্রমণ বন্ধ করবেন তারা। হুতিদের হামলার ভয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথ এড়িয়ে এখন ভিন্ন পথে গন্তব্য যাচ্ছে জাহাজগুলো। এর ফলে এসব জাহাজ কোম্পানির পরিবহন ব্যয় বাড়ছে।

হুতিদের দমাতে বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে লোহিত সাগরে একটি নৌটহল দল গঠন করে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইয়েমেনের ভেতরে ইরানপন্থী এই গোষ্ঠীটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা পর্যন্ত চালিয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। তবে এত কিছু করেও এখন পর্যন্ত ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের থামাতে পারেনি পশ্চিমারা।

হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় গ্রিক জাহাজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট : ০৮:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

লোহিত সাগরে গ্রিসের মালিকানাধীন একটি পণ্যবাহী জাহাজে হামলা হয়েছে। হামলায় কারণে জাহাজটিতে পানি উঠে পড়ে। এমনকি পরে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি উদ্ধার করতে হয়েছে। ইতিমধ্যে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হুতি। খবর রয়টার্সের।

হুতি বিদ্রোহীরা বলেছে, হামলার শিকার জাহাজটির নাম টিউটর। এটি একটি কয়লাবাহী জাহাজ। মনুষ্যবিহীন সারফেস বোট, ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করা হলে জাহাজটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এই হামলার বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, মনুষ্যবিহীন সারফেস বোটের আঘাতে জাহাজে পানি উঠে পড়ে। এর ইঞ্জিন রুমেরও ক্ষতি হয়েছে।

এর আগে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সমুদ্র নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা ইউকেএমটিও জানায়, বুধবার (১২ জুন) হুতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা বন্দরের প্রায় ৬৬ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি জাহাজ আঘাত হানার খবর পেয়েছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রিক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আকাশ ও সমুদ্রপথে জাহাজে দুবার হামলা হয়েছে। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভারতে যাওয়ার পথে জাহাজটিতে হামলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮০ হাজারের বেশি মানুষ।

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালি এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে আসছে হুতিরা। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ হলেই এসব জাহাজে আক্রমণ বন্ধ করবেন তারা। হুতিদের হামলার ভয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথ এড়িয়ে এখন ভিন্ন পথে গন্তব্য যাচ্ছে জাহাজগুলো। এর ফলে এসব জাহাজ কোম্পানির পরিবহন ব্যয় বাড়ছে।

হুতিদের দমাতে বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে লোহিত সাগরে একটি নৌটহল দল গঠন করে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইয়েমেনের ভেতরে ইরানপন্থী এই গোষ্ঠীটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা পর্যন্ত চালিয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। তবে এত কিছু করেও এখন পর্যন্ত ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের থামাতে পারেনি পশ্চিমারা।