১১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ বছরে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ

বিশ্বের ১১ কোটি ৭৩ লাখ অথবা প্রতি ৬৯ জনের একজন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনি তথ্য। মঙ্গলবার (১২ জুন) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সংস্থাটি। খবর আল-জাজিরার।

প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, সংঘাত, সহিংসতা, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেড়েই চলছে। ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে অর্থাৎ, এপ্রিলের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে ১২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, ক্রমবর্ধমান এই সংখ্যার পেছনে রয়েছে অসংখ্য মানবিক ট্র্যাজেডি। এই দুর্ভোগ অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলো মোকাবিলায় জরুরিভাবে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।

ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ছয় কোটি ৮৩ লাখ মানুষ। যেমনটা হয়েছে গাজা উপত্যকায়। জাতিসংঘের অনুমান, গাজা সংঘাতের জেরে উপত্যকাটির মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তচ্যুত হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা সাত শতাংশ বেড়ে চার কোটি ৩৪ লাখে গিয়ে ঠেকেছে। সুদান, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান সংঘাতের কারণে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

নিজ দেশে নিপীড়ন বা ক্ষতির ভয়ের কারণে অন্য দেশে সুরক্ষা চেয়ে আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ লাখে। যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।

১০ বছরে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ

আপডেট : ০৭:০৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

বিশ্বের ১১ কোটি ৭৩ লাখ অথবা প্রতি ৬৯ জনের একজন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনি তথ্য। মঙ্গলবার (১২ জুন) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সংস্থাটি। খবর আল-জাজিরার।

প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, সংঘাত, সহিংসতা, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেড়েই চলছে। ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে অর্থাৎ, এপ্রিলের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে ১২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, ক্রমবর্ধমান এই সংখ্যার পেছনে রয়েছে অসংখ্য মানবিক ট্র্যাজেডি। এই দুর্ভোগ অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলো মোকাবিলায় জরুরিভাবে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।

ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ছয় কোটি ৮৩ লাখ মানুষ। যেমনটা হয়েছে গাজা উপত্যকায়। জাতিসংঘের অনুমান, গাজা সংঘাতের জেরে উপত্যকাটির মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তচ্যুত হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা সাত শতাংশ বেড়ে চার কোটি ৩৪ লাখে গিয়ে ঠেকেছে। সুদান, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান সংঘাতের কারণে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

নিজ দেশে নিপীড়ন বা ক্ষতির ভয়ের কারণে অন্য দেশে সুরক্ষা চেয়ে আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ লাখে। যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।