০১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাচদের হারিয়ে সুপার এইটের পথে বাংলাদেশ

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতলে সুপার এইটে ওঠার সমীকরণ সহজ হবে বাংলাদেশের। এমন লক্ষ্যেই ডাচদের বিপক্ষে নামে শান্ত বাহিনী। শুরুটা তেমন ভালো না হলেও সাকিবের ব্যাটে ১৫৯ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জিততে হলে নেদারল্যান্ডসকে করতে হবে ১৬০ রান। এমন প্রেক্ষাপটে ২৫ রানে হেরেছে ডাচরা। এতেই বাংলাদেশের সুপার এইটের পথ আরও সুগম হয়েছে।

কিংসটনে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ডাচরা। দ্বিতীয় ওভারে টাইগার শিবিরে ডাচদের ধাক্কা। টি-টুয়েন্টিতে বাজে সময় পার করা অধিনায়ক শান্ত ৩ বলে মাত্র ১ রান করেই ফিরেন প্যাভিলিয়নে। শান্তর দেখানো পথে হাঁটলেন লিটন দাস। ২ বলে ১ রান করে আরিয়ান দত্তের শিকার হন তিনি। শান্ত-লিটনকে হারিয়ে বেশ চাপে বাংলাদেশ। তবে, দলকে একটু স্বস্তি এনে দেয় তানজিদ তামিম ও সাকিবের জুটি।

দেখেশুনে খেলতে থাকেন তামিম ও সাকিব। তবে ৭১ রানে ফের ছন্দপতন। ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। এর আগে ২৬ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন এই ওপেনার। তামিম ফিরে গেলেও সাকিব খেলছিলেন নিজের মতো করে। তবে, তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি ইনফর্মার হৃদয়। ১৫ বলে ৯ রান করে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তাকে বোল্ড করেন টিম প্রিঙ্গাল।

হৃদয় আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন ফিনিশার খ্যাত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এর মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি করেন সাকিব। এই দুই সিনিয়র খেলোয়াড় জুটি গড়েন ৪১ রানের। ২১ বলে ২৫ করে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। শেষের দিকে জাকের আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৫৯ রানের লড়াকু র‌ান পায় বাংলাদেশ।

১৬০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা তেমন খারাপ হয়নি ডাচদের। প্রথম উইকেট জুটিতে ২২ রান তোলে তারা। ডাচ শিবিরে প্রথম হানা তাসকিনের। দ্বিতীয় উইকেটের জন্য বেশি দেরি করতে হয়নি বাংলাদেশের। ডাচদের দলীয় ৩২ রানে ম্যাক্স ওডাউডকে ফেরান তানজিম সাকিব।

শুরুর ধাক্কাটা সামলে নেয় ডাচরা। ৩৭ রানের জুটি করেন বিক্রম জিৎ সিং ও সেব্যান্ড এঙ্গেলব্রেচত। দারুণ খেলতে থাকা বিক্রমকে ফেরান মাহমুদুল্লাহ। তখন ডাচদের দলীয় রান ৬৯। এরপরেই দারুণ একটি জুটি করেন সেব্যান্ড ও স্কট। দলকে জেতানোর স্বপ্ন দেখাতে থাকেন তারা। সেব্যান্ডকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি এনে দেন স্পিনার রিশাদ। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ডাচরা। ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তোলে তারা।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নেন রিশাদ। দুই উইকেট নেন তাসকিন। মুস্তাফিজ, তানজিম সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ নেন ১টি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা হন সাকিব আল হাসান।

ডাচদের হারিয়ে সুপার এইটের পথে বাংলাদেশ

আপডেট : ১১:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতলে সুপার এইটে ওঠার সমীকরণ সহজ হবে বাংলাদেশের। এমন লক্ষ্যেই ডাচদের বিপক্ষে নামে শান্ত বাহিনী। শুরুটা তেমন ভালো না হলেও সাকিবের ব্যাটে ১৫৯ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জিততে হলে নেদারল্যান্ডসকে করতে হবে ১৬০ রান। এমন প্রেক্ষাপটে ২৫ রানে হেরেছে ডাচরা। এতেই বাংলাদেশের সুপার এইটের পথ আরও সুগম হয়েছে।

কিংসটনে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ডাচরা। দ্বিতীয় ওভারে টাইগার শিবিরে ডাচদের ধাক্কা। টি-টুয়েন্টিতে বাজে সময় পার করা অধিনায়ক শান্ত ৩ বলে মাত্র ১ রান করেই ফিরেন প্যাভিলিয়নে। শান্তর দেখানো পথে হাঁটলেন লিটন দাস। ২ বলে ১ রান করে আরিয়ান দত্তের শিকার হন তিনি। শান্ত-লিটনকে হারিয়ে বেশ চাপে বাংলাদেশ। তবে, দলকে একটু স্বস্তি এনে দেয় তানজিদ তামিম ও সাকিবের জুটি।

দেখেশুনে খেলতে থাকেন তামিম ও সাকিব। তবে ৭১ রানে ফের ছন্দপতন। ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। এর আগে ২৬ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন এই ওপেনার। তামিম ফিরে গেলেও সাকিব খেলছিলেন নিজের মতো করে। তবে, তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি ইনফর্মার হৃদয়। ১৫ বলে ৯ রান করে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তাকে বোল্ড করেন টিম প্রিঙ্গাল।

হৃদয় আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন ফিনিশার খ্যাত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এর মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি করেন সাকিব। এই দুই সিনিয়র খেলোয়াড় জুটি গড়েন ৪১ রানের। ২১ বলে ২৫ করে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। শেষের দিকে জাকের আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৫৯ রানের লড়াকু র‌ান পায় বাংলাদেশ।

১৬০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা তেমন খারাপ হয়নি ডাচদের। প্রথম উইকেট জুটিতে ২২ রান তোলে তারা। ডাচ শিবিরে প্রথম হানা তাসকিনের। দ্বিতীয় উইকেটের জন্য বেশি দেরি করতে হয়নি বাংলাদেশের। ডাচদের দলীয় ৩২ রানে ম্যাক্স ওডাউডকে ফেরান তানজিম সাকিব।

শুরুর ধাক্কাটা সামলে নেয় ডাচরা। ৩৭ রানের জুটি করেন বিক্রম জিৎ সিং ও সেব্যান্ড এঙ্গেলব্রেচত। দারুণ খেলতে থাকা বিক্রমকে ফেরান মাহমুদুল্লাহ। তখন ডাচদের দলীয় রান ৬৯। এরপরেই দারুণ একটি জুটি করেন সেব্যান্ড ও স্কট। দলকে জেতানোর স্বপ্ন দেখাতে থাকেন তারা। সেব্যান্ডকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি এনে দেন স্পিনার রিশাদ। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ডাচরা। ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তোলে তারা।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নেন রিশাদ। দুই উইকেট নেন তাসকিন। মুস্তাফিজ, তানজিম সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ নেন ১টি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা হন সাকিব আল হাসান।