পবিত্র হজ আজ, লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান
- আপডেট সময় : ১১:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
- / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে
আজ শনিবার পবিত্র হজ। আজ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে থেকে জড়ো হওয়া লাখো মুসলমান। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
লাখো কণ্ঠে আরাফাতের ময়দানে আজ ধ্বনিত হবে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক।’ অর্থাৎ আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার। আজ তারা ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতির মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে গুনাহ মাফের আকুল আবেদন করবেন।
এর আগে পবিত্র হজ পালনের অংশ হিসেবে মক্কা নগরীর কাছে মিনায় পৌঁছেছেন হাজিরা। শুক্রবার (১৪ই জুন) মিনায় অবস্থান করেন হজযাত্রীরা। সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়ত করে তারা মক্কা থেকে মিনায় আসেন। মিনায় নিজ নিজ তাঁবুর মধ্যে নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত করেছেন। আজ ফজরের নামাজ আদায় করেই তারা যাবেন আরাফাতের ময়দানে।
জোহরের নামাজের আগে আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরার মিম্বরে দাঁড়িয়ে আরবি ভাষায় হজের খুতবা পাঠ করা হবে। খুতবার পর মসজিদে নামিরায় সমবেত মুসলমানরা এক আজান এবং দুই ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে জামাতে আদায় করবেন। কারোর অবস্থান দূরে থাকলে তিনি নিজের তাঁবুতে আলাদাভাবে আদায় করবেন জোহর এবং আসরের নামাজ।
সূর্য অস্ত যাওয়ার কিছু সময় পরে হজযাত্রীরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফাত ময়দান থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেবেন। মুজদালিফায় গিয়ে এশার নামাজের সময় একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। এর আগে প্রতীকী শয়তানের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপের জন্য তারা সেখান থেকে ৭০টি পাথর সংগ্রহ করবেন। এর পরের দিন হজযাত্রীরা ফজরের নামাজ আদায়ের পর সূর্যোদয়ের আগে কিছু সময় অবশ্যই মুজদালিফায় অবস্থান করবেন। এরপর তারা যাবেন মিনায়।
গত বছর হজ করেছিলেন ১৮ লাখ মানুষ। তবে এবার মিনায় ২০ লাখেরও বেশি হজযাত্রী অবস্থান করেছেন । এ বছরের হজকে সামনে রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিল সৌদি। এবার অনুমতি ছাড়া কাউকে হজ করার সুযোগ দেয়নি দেশটির সরকার। এমনকি হজের কয়েকদিন আগে মক্কা থেকে ৩ লাখেরও বেশি মানুষকে বের করে দেওয়া হয়। যাদের বেশিরভাগই অনুমতি ছাড়া হজ করার পরিকল্পনা করেছিলেন।