ঢাকা ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভোট চুরি করলে ক্ষমতায় থাকা যায় না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট চুরি করলে যে ক্ষমতায় থাকা যায় না , ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার পদত্যাগই তার প্রমাণ। আজ (শনিবার) সকালে গণভবনে কৃষক লীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ২০২৪ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দেশের গণতান্ত্রিকধারা নষ্ট করেছিলো সামরিক শাসকরা। জিয়া ক্ষমতায় এসে ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছিলো। ক্ষমতায় বসে দল গঠন করে ভোট চুরি করে জিয়া ক্ষমতায় আসে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কৃষকদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, হত্যা করে কৃষককে। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলো। কিন্তু ভোট চুরি করলে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না, খালেদা জিয়াকেও চলে যেতে হয়েছে। তারা এখন ভোট ও গণতন্ত্রের কথা বলে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে কৃষির ওপর। আমাদের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর পরই তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কৃষিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার ফলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। যখন তিনি এই ঘুনেধরা সমাজ ভেঙে নতুন সমাজ গড়ার পদক্ষেপ নেন এবং বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে আত্মমর্যাদাশীল করে গড়ে তোলার বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা দেন। আমাদের দুর্ভাগ্য সেই সময় জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

আওয়ামী লীগ ১৯৮৪ সাল থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে আসছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। পরিবেশ রক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন এসব কিন্তু তখনও বিশ্বে আসে নাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ, আমরা উদ্যোগ নিই। সব সময় গাছ লাগানো আমাদের নীতি ছিল। তখন থেকে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করি এবং কৃষক লীগের ওপর দায়িত্ব দিই।

সরকার প্রধান বলেন, এটা আমরা শিখেছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছ থেকে। তিনি এ দেশের ঘোড়দৌড় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। রেসকোর্স ময়দানে প্রথম বৃক্ষরোপণ করেন। সেখানে অনেক পুরাতন নারকেল গাছগুলো তার সময়ে লাগানো। তিনি নিজে বৃক্ষরোপণ করেন। গণভবনের পুরোনো সব গাছগুলো বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে খুব চমৎকারভাবে সাজিয়ে লাগানো।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমার খুব হাসি পায়, যখন দেখি বিএনপি ভোটের কথা উচ্চারণ করে, নির্বাচনের কথা বলে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে এ দেশের ভোটের সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছিল। তার সেই হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে যাত্রা শুরু; অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য। একাধারে সেনাপ্রধান, তারপর আবার নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী প্রহসন। ক্ষমতার মসনদে বসেই দল গঠন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলটি গঠন করে, তাকে আবার জিতিয়ে আনার জন্য ভোট চুরির একটা প্রক্রিয়া এ দেশের শুরু করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি গবেষণা ও যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। কৃষকদের সব ধরেনর সহযোগিতা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভোট চুরি করলে ক্ষমতায় থাকা যায় না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট চুরি করলে যে ক্ষমতায় থাকা যায় না , ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার পদত্যাগই তার প্রমাণ। আজ (শনিবার) সকালে গণভবনে কৃষক লীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ২০২৪ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দেশের গণতান্ত্রিকধারা নষ্ট করেছিলো সামরিক শাসকরা। জিয়া ক্ষমতায় এসে ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছিলো। ক্ষমতায় বসে দল গঠন করে ভোট চুরি করে জিয়া ক্ষমতায় আসে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কৃষকদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, হত্যা করে কৃষককে। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলো। কিন্তু ভোট চুরি করলে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না, খালেদা জিয়াকেও চলে যেতে হয়েছে। তারা এখন ভোট ও গণতন্ত্রের কথা বলে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে কৃষির ওপর। আমাদের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর পরই তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কৃষিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার ফলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। যখন তিনি এই ঘুনেধরা সমাজ ভেঙে নতুন সমাজ গড়ার পদক্ষেপ নেন এবং বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে আত্মমর্যাদাশীল করে গড়ে তোলার বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা দেন। আমাদের দুর্ভাগ্য সেই সময় জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

আওয়ামী লীগ ১৯৮৪ সাল থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে আসছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। পরিবেশ রক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন এসব কিন্তু তখনও বিশ্বে আসে নাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ, আমরা উদ্যোগ নিই। সব সময় গাছ লাগানো আমাদের নীতি ছিল। তখন থেকে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করি এবং কৃষক লীগের ওপর দায়িত্ব দিই।

সরকার প্রধান বলেন, এটা আমরা শিখেছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছ থেকে। তিনি এ দেশের ঘোড়দৌড় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। রেসকোর্স ময়দানে প্রথম বৃক্ষরোপণ করেন। সেখানে অনেক পুরাতন নারকেল গাছগুলো তার সময়ে লাগানো। তিনি নিজে বৃক্ষরোপণ করেন। গণভবনের পুরোনো সব গাছগুলো বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে খুব চমৎকারভাবে সাজিয়ে লাগানো।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমার খুব হাসি পায়, যখন দেখি বিএনপি ভোটের কথা উচ্চারণ করে, নির্বাচনের কথা বলে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে এ দেশের ভোটের সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছিল। তার সেই হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে যাত্রা শুরু; অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য। একাধারে সেনাপ্রধান, তারপর আবার নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী প্রহসন। ক্ষমতার মসনদে বসেই দল গঠন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলটি গঠন করে, তাকে আবার জিতিয়ে আনার জন্য ভোট চুরির একটা প্রক্রিয়া এ দেশের শুরু করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি গবেষণা ও যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। কৃষকদের সব ধরেনর সহযোগিতা করা হচ্ছে।