০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের সঙ্গে আরব দেশের শীর্ষ জেনারেলদের বৈঠক

ফিলিস্তিন ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের আবর দেশগুলোর ভূমিকা সব সময়ই বিতর্কিত। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের গোপন আঁতাতের বিষয়টি আলোচনায়। পুরো বিশ্ব যেখানে ফিলিস্তিন ইস্যুতে সরব, সেখানে এসব আরব দেশ ও তাদের সরকারপ্রধানরা শুধু যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে দায় সারছেন। বলতে গেলে ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হলেও তা ঠেকাতে তেমন কিছুই করছে না এসব দেশ। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাঁচ আরব দেশের শীর্ষ জেনারেলরা। তাদের এই বৈঠক ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে নয়, খোদ এই পাঁচ দেশের একটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজা যুদ্ধের মধ্যেই তাদের এই আচারণকে ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে চুরি মারার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, জর্ডান ও মিসরের শীর্ষ জেনারেলরা বাহরাইনের মানামায় ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর দেখভালে নিয়োজিত ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এই বৈঠকের আয়োজন করেছে। এই বৈঠকে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান জেনারেল হার্জি হালেভি এবং মার্কিন জেনারেল মিশেল এরিক কুরিল্লা উপস্থিত ছিলেন।

গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের জেরে আরব বিশ্বে সৃষ্ট সংবেদনশীল রাজনৈতিক আবহে এই বৈঠকের বিষয়ে কোনো পক্ষই জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি। কিন্তু প্রকাশ করা না হলেও ইসরায়েলের সঙ্গে আরবদের এই বৈঠককে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

এদিকে মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, এই খবর ফাঁস হতেই আরব বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ফিলিস্তিনি জনগণের তীব্র দুর্ভোগের এই সময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলির এ রকম দহরম মহরম সম্পর্কের নিন্দা করছেন মানুষ। অনেকে এই বৈঠকটিকে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিরঙ্কুশ সমর্থন এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার ওপর আঞ্চলিক নিরাপত্তা স্বার্থকে অগ্রাধিকার হিসেবে দেখছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সামি আল- আরিয়ান বলেন, যদি বিষয়টি সত্য হয়, তাহলে এটি অন্য যেকোনো কেলেঙ্কারিকে ছাড়িয়ে যাবে। এটি এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও পাঁচ মার্কিন আরব মিত্রদের সম্পৃক্ততার নজির।

ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের সঙ্গে আরব দেশের শীর্ষ জেনারেলদের বৈঠক

আপডেট : ১২:৪৭:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

ফিলিস্তিন ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের আবর দেশগুলোর ভূমিকা সব সময়ই বিতর্কিত। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের গোপন আঁতাতের বিষয়টি আলোচনায়। পুরো বিশ্ব যেখানে ফিলিস্তিন ইস্যুতে সরব, সেখানে এসব আরব দেশ ও তাদের সরকারপ্রধানরা শুধু যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে দায় সারছেন। বলতে গেলে ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হলেও তা ঠেকাতে তেমন কিছুই করছে না এসব দেশ। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাঁচ আরব দেশের শীর্ষ জেনারেলরা। তাদের এই বৈঠক ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে নয়, খোদ এই পাঁচ দেশের একটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজা যুদ্ধের মধ্যেই তাদের এই আচারণকে ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে চুরি মারার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, জর্ডান ও মিসরের শীর্ষ জেনারেলরা বাহরাইনের মানামায় ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর দেখভালে নিয়োজিত ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এই বৈঠকের আয়োজন করেছে। এই বৈঠকে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান জেনারেল হার্জি হালেভি এবং মার্কিন জেনারেল মিশেল এরিক কুরিল্লা উপস্থিত ছিলেন।

গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের জেরে আরব বিশ্বে সৃষ্ট সংবেদনশীল রাজনৈতিক আবহে এই বৈঠকের বিষয়ে কোনো পক্ষই জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি। কিন্তু প্রকাশ করা না হলেও ইসরায়েলের সঙ্গে আরবদের এই বৈঠককে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

এদিকে মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, এই খবর ফাঁস হতেই আরব বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ফিলিস্তিনি জনগণের তীব্র দুর্ভোগের এই সময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলির এ রকম দহরম মহরম সম্পর্কের নিন্দা করছেন মানুষ। অনেকে এই বৈঠকটিকে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিরঙ্কুশ সমর্থন এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার ওপর আঞ্চলিক নিরাপত্তা স্বার্থকে অগ্রাধিকার হিসেবে দেখছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সামি আল- আরিয়ান বলেন, যদি বিষয়টি সত্য হয়, তাহলে এটি অন্য যেকোনো কেলেঙ্কারিকে ছাড়িয়ে যাবে। এটি এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও পাঁচ মার্কিন আরব মিত্রদের সম্পৃক্ততার নজির।