বায়তুল মোকাররমে ফিলিস্তিনের জন্য বিশেষ মোনাজাত
- আপডেট সময় : ১২:২৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪
- / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে
যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। এরই মধ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় অংশ নিয়েছেন কয়েক হাজার মুসল্লি। নামাজ শেষে করা হয়েছে বিশেষ মোনাজাত। যেখানে স্থান পেয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আহত, নিহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিরাও। তাদের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক প্রথম জামাতে ইমামতি করেন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এসময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কথা স্মরণ করে দোয়া করা হয়।
এর আগে ঈদের নামাজ পূর্ব বয়ানে ইমাম হাফেজ মাওলানা ইহসানুল হক উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়, কোরবানির শিক্ষা, কোরবানির সঠিক পদ্ধতি, কোরবানি করা পশুর চামড়ার অর্থ গরিব-দুঃখীদের দেওয়া, সামর্থ্য অনুযায়ী দান সদকা করাসহ ইসলাম এবং ইসলামী শরিয়তের নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পায় তার বয়ানে।
তিনি বলেন, আল্লাহ মুসলিম উম্মাহর জন্য বিভিন্ন ইবাদত পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার মধ্যে ঈদুল আজহা অন্যতম। আজকের এই দিনে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের আমল হচ্ছে পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। তবে কেবল মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই কোরবানি করতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ যদি ন্যূনতম গাফিলতি করে তবে তার কোরবানি কবুল হবে না। মানুষের বাহবা পাওয়ার উদ্দেশ্যে কোরবানি করা যাবে না।
মাওলানা ইহসানুল হক আরও বলেন, কোরবানির আগেই সবার নিয়তকে পরিশুদ্ধ করে নিতে হবে। তাহলে আল্লাহ কোরবানিকৃত পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে কোরবানি দাতার জন্য সাওয়াব লিখে দিবেন।
অপরদিকে জাতীয় ঈদগাহেও সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের কয়েক হাজার মুসল্লি অংশ নেন। মোনাজাত শেষে রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।