০১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের রাখাইনের শহর ছাড়ার নির্দেশ আরাকান আর্মির

মিয়ানমারের রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত একটি শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির শক্তিশালী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গতকাল রোববার (১৬ জুন) রাতে তাদের এই নির্দেশনা দিয়েছে গোষ্ঠীটি। খবর রয়টার্সের।

আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে দেয়া এক বার্তায় তাদের রাত ৯টার মধ্যে মংডু শহর ছেড়ে দিতে বলেছে। মূলত জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হামলার আগে রোহিঙ্গাদের শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

আরাকান আর্মি বলেছে, আমরা জান্তার অবশিষ্ট ঘাঁটিতে হামলা করতে যাচ্ছি। তাই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাসিন্দাদের মংডুর সামরিক ঘাঁটি থেকে দূরে থাকতে বলা হলো।

এদিকে মিয়ানমারের ছায়া জাতীয় ঐক্য সরকারের উপ-মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী অং কিয়াও মো বলেছেন, দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত ঘনিয়ে আসায় প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা আটকা পড়েছেন। বর্তমানে তারা মংডুতে অবস্থান করছেন। তাদের পালিয়ে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।

২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে রাখাইনে জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা করে আসছে আরাকান আর্মি। ইতিমধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বেশ কিছু অঞ্চল জান্তার হাত থেকে নিজেদের দখলে নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। ফলে বিরোধীদের চাপে জর্জরিত জান্তা সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে চলেছে আরাকান আর্মি।

জান্তা ও আরাকান আর্মির সংঘাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ সীমান্তে ভিড় করছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা। তবে ইতিমধ্যে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশ নতুন করে আর কাউকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করতে চাইছে না।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা কয়েক দশক ধরে নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে। ২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা নেতৃত্বাধীন দমনপীড়ন থেকে পালিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে।

রোহিঙ্গাদের রাখাইনের শহর ছাড়ার নির্দেশ আরাকান আর্মির

আপডেট : ১২:৪২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

মিয়ানমারের রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত একটি শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির শক্তিশালী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গতকাল রোববার (১৬ জুন) রাতে তাদের এই নির্দেশনা দিয়েছে গোষ্ঠীটি। খবর রয়টার্সের।

আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে দেয়া এক বার্তায় তাদের রাত ৯টার মধ্যে মংডু শহর ছেড়ে দিতে বলেছে। মূলত জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হামলার আগে রোহিঙ্গাদের শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

আরাকান আর্মি বলেছে, আমরা জান্তার অবশিষ্ট ঘাঁটিতে হামলা করতে যাচ্ছি। তাই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাসিন্দাদের মংডুর সামরিক ঘাঁটি থেকে দূরে থাকতে বলা হলো।

এদিকে মিয়ানমারের ছায়া জাতীয় ঐক্য সরকারের উপ-মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী অং কিয়াও মো বলেছেন, দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত ঘনিয়ে আসায় প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা আটকা পড়েছেন। বর্তমানে তারা মংডুতে অবস্থান করছেন। তাদের পালিয়ে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।

২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে রাখাইনে জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা করে আসছে আরাকান আর্মি। ইতিমধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বেশ কিছু অঞ্চল জান্তার হাত থেকে নিজেদের দখলে নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। ফলে বিরোধীদের চাপে জর্জরিত জান্তা সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে চলেছে আরাকান আর্মি।

জান্তা ও আরাকান আর্মির সংঘাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ সীমান্তে ভিড় করছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা। তবে ইতিমধ্যে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশ নতুন করে আর কাউকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করতে চাইছে না।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা কয়েক দশক ধরে নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে। ২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা নেতৃত্বাধীন দমনপীড়ন থেকে পালিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে।