০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটের সব পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৯:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
  • ৩৫ দেখেছেন

সিলেটে আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রধান প্রধান পর্যটনকেন্দ্রগুলো দ্বিতীয় দফায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন।

জানা গেছে, এর আগে গত ৩০ মে বন্যা পরিস্থিতির কারণে প্রথম দফায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়করা। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে ফের বন্যা দেখা দেওয়ায় দ্বিতীয় দফায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধের ঘোষণা এলো।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার সিলেটের সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে তলিয়ে গেছে সাদাপাথর, জাফলং, বিছানাকান্দিসহ প্রধান প্রধান পর্যটনকেন্দ্র।

এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, বন্যা পরিস্থিতির জন্য সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সেগুলো কার্যকর করা হয়েছে।

সিলেটের গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টি এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। উপজেলার মধ্যে প্রবহমান পিয়াইন, সারি ও গোয়াইন নদের পানি বিপৎসীমার ওপরে অতিক্রম করেছে। এরই মধ্যে উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো প্লাবিত হয়েছে। এমন অবস্থায় জনস্বার্থে, জানমাল রক্ষার্থে ও জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, পান্থুমাইসহ সব পর্যটনকেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পাউবো সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টা সুরমা নদীর কানাই পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর সিলেট পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার ও একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৭৯ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও সারি গোয়াইন নদীর পানি গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

যুদ্ধ ও সংঘাতে মানুষের অধিকার খর্ব হচ্ছে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

সিলেটের সব পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা

আপডেট : ০৯:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

সিলেটে আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রধান প্রধান পর্যটনকেন্দ্রগুলো দ্বিতীয় দফায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন।

জানা গেছে, এর আগে গত ৩০ মে বন্যা পরিস্থিতির কারণে প্রথম দফায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়করা। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে ফের বন্যা দেখা দেওয়ায় দ্বিতীয় দফায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধের ঘোষণা এলো।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার সিলেটের সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে তলিয়ে গেছে সাদাপাথর, জাফলং, বিছানাকান্দিসহ প্রধান প্রধান পর্যটনকেন্দ্র।

এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, বন্যা পরিস্থিতির জন্য সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সেগুলো কার্যকর করা হয়েছে।

সিলেটের গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টি এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। উপজেলার মধ্যে প্রবহমান পিয়াইন, সারি ও গোয়াইন নদের পানি বিপৎসীমার ওপরে অতিক্রম করেছে। এরই মধ্যে উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো প্লাবিত হয়েছে। এমন অবস্থায় জনস্বার্থে, জানমাল রক্ষার্থে ও জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, পান্থুমাইসহ সব পর্যটনকেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পাউবো সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টা সুরমা নদীর কানাই পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর সিলেট পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার ও একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৭৯ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও সারি গোয়াইন নদীর পানি গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।