ভারি বৃষ্টিপাতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উখিয়ায় ৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাদা পাহাড় ধসের ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পাহাড়ধসে মৃত ১০ জনের মধ্যে ৯ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ও একজন বাংলাদেশি।
তিনি আরও জানান, গত রাত থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পৃথক স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনাগুলো ঘটে।
গতকাল ( মঙ্গলবার, ১৮ জুন) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। রোহিঙ্গাদের ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ক্যাম্প এবং পালংখালি ইউনিয়নে আলাদা পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে।
উখিয়ায় পাহাড় ধসের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, উখিয়ার ৯ ও ১০ নম্বর ক্যাম্পে এরইমধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। রাত আড়াইটার দিকে তারা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। তিনটায় উখিয়ার ৯ নম্বর ক্যাম্প থেকে দুইজনকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। আর ১০ নম্বর ক্যাম্প থেকে ভোর ছয়টায় চারজনকে উদ্ধার করে তারা।
এছাড়া ৮ নম্বর ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বাঙালি বলে জানান তিনি। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম ও সিলেট এলাকায় আরও তিনদিন ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অভিস। গতকাল রাত থেকে আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত কক্সবাজারে ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া বুধবার ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চোরাখোলায় পাহাড়ধসে ঘুমন্ত অবস্থায় আব্দুল করিম নামে ১২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত আব্দুল করিম উখিয়ার পালংখালি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের থাইংখালির শাহ আলমের ছেলে। সে থাইংখালি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মৃতের বাবা মো. শাহ আলম বলেন, রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ির সবাই ঘুমিয়েছিলাম। মাঝরাতে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। ভোরে হঠাৎ বাড়ির পাশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাহাড় ধসে এসে আমাদের ঘরে পড়ে। তখন আমরা কয়েকজন বের হতে পারলেও আমার ছেলে আব্দুল করিম বের হতে পারেনি। মাটিচাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। আমরা আহত হয়েছি।
পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ভারি বৃষ্টির কারণে থাইংখালি ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ধসে শাহ আলমের বাড়িতে এসে পড়ে। এ সময় আব্দুল করিমের মৃত্যু হয়। বিষয়টি ইউএনওসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।