০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ

পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। বুধবার (১৯ জুন) ঈদের তৃতীয় দিন সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, বাসটার্মিনাল ও সদরঘাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষজন ঢাকায় ফিরতে দেখা যায়। আবার ঢাকা ছেড়ে বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার জন্যও মানুষজনকে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে কিছুক্ষণ পরপর এসে থামছে ট্রেনগুলো। এসব ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রীই ঈদের ছুটি কাটিয়ে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফিরছে কর্মস্থলে। তবে এখনও তেমন ভিড় দেখা যায়নি।

ছুটি শেষে অফিস খুলে যাওয়ায় ফিরে আসতে হয়েছে অনেককে। রাস্তার ভোগান্তি ও যানজট এড়াতে অনেকে আগেভাগেই ফিরছে। কেউ ফিরছে পরিবার পরিজনসহ, কেউবা একা।

একই চিত্র রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে। সকাল থেকেই দূরদুরান্তের বাসগুলোতে ঢাকায় ফিরেছে অফিসগামী মানুষেরা। স্বস্তিতে ফিরতে পেরে খুশি তারা।

মূলত, ঈদ উপলক্ষে ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন (রোব, সোম ও মঙ্গলবার) তিনদিন ছিল সরকারি ছুটি। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। এ কার‌ণে এবারের ঈদের ছুটি পড়েছে পাঁচদিন। ফ‌লে টানা পাঁচদিন ঈদের ছুটি শেষে আজ অফিসপাড়ায় যোগ দিচ্ছেন কর্মজীবীরা। তবে, এখনো ট্রেনে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। বিশেষত চাকরিজীবী অনেকেই পরিবার পরিজনদের গ্রামের বাড়িতে রেখে একাই ঢাকা ফিরে এসেছেন।

ঢাকায় ফিরে আসা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, চাকরিতে আজ যোগ দেওয়ার জন্য ফিরে আসতে হলো। তবে বাচ্চাদের স্কুল-কলেজ আরো পরে খুলবে। সেজন্য তাদেরকে গ্রামের বাড়িতে রেখে এসেছি। আমি একাই ফিরে এসেছি। আজ সবেমাত্র ঈদের তৃতীয় দিন। আরো কয়েকটা দিন তারা ঈদের আনন্দ উপভোগ করুক।

ফিরে আসার সময় অনেকটা স্বস্তিতেই এসেছেন বলে জানান চাকরিজীবী হাসান হাবিব। তিনি বলেন, তেমন ভিড় ছিল না। যাওয়ার সময় যে কষ্ট করে গিয়েছি আসতে তেমন কষ্ট হয়নি। কাল-পরশু থেকে হয়ত ভিড় বাড়বে।

অপরদিকে, ঈদের তৃতীয় দিনেও ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে ট্রেনযাত্রার জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া অভিমুখী তিতাস কমিউটার, জামালপুর অভিমুখী জামালপুর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় অভিমুখী একতা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ অভিমুখী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, সিলেটের জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, তারাকান্দি অভিমুখে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং খুলনা অভিমুখী নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদেরকে ঢাকা ছাড়ার জন্য সময়সূচি অনুযায়ী প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে তিতাস কমিউটার ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ সায়রা বানু বলেন, ঢাকায় শ্বশুর বাড়িতে ঈদ করেছি। এখন গ্রামের বাড়িতে বাবা মায়ের কাছে বেড়াতে যাচ্ছি। টিকিট আগেই কাটা ছিল। এখন পর্যন্ত কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তবে যথাসময়ে ট্রেন না ছাড়লেই ভোগান্তি শুরু হবে।

ঢাকা রেলস্টেশন স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এখনো ঈদযাত্রার চাপ আছে। ঢাকা থেকে বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানোসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে মানুষজন ছেড়ে যাচ্ছেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি সময়মতো ট্রেনগুলো ছাড়ার জন্য। এখন পর্যন্ত সব শিডিউল ঠিক আছে।

ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ

আপডেট : ০৪:১৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। বুধবার (১৯ জুন) ঈদের তৃতীয় দিন সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, বাসটার্মিনাল ও সদরঘাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষজন ঢাকায় ফিরতে দেখা যায়। আবার ঢাকা ছেড়ে বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার জন্যও মানুষজনকে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে কিছুক্ষণ পরপর এসে থামছে ট্রেনগুলো। এসব ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রীই ঈদের ছুটি কাটিয়ে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফিরছে কর্মস্থলে। তবে এখনও তেমন ভিড় দেখা যায়নি।

ছুটি শেষে অফিস খুলে যাওয়ায় ফিরে আসতে হয়েছে অনেককে। রাস্তার ভোগান্তি ও যানজট এড়াতে অনেকে আগেভাগেই ফিরছে। কেউ ফিরছে পরিবার পরিজনসহ, কেউবা একা।

একই চিত্র রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে। সকাল থেকেই দূরদুরান্তের বাসগুলোতে ঢাকায় ফিরেছে অফিসগামী মানুষেরা। স্বস্তিতে ফিরতে পেরে খুশি তারা।

মূলত, ঈদ উপলক্ষে ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন (রোব, সোম ও মঙ্গলবার) তিনদিন ছিল সরকারি ছুটি। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। এ কার‌ণে এবারের ঈদের ছুটি পড়েছে পাঁচদিন। ফ‌লে টানা পাঁচদিন ঈদের ছুটি শেষে আজ অফিসপাড়ায় যোগ দিচ্ছেন কর্মজীবীরা। তবে, এখনো ট্রেনে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। বিশেষত চাকরিজীবী অনেকেই পরিবার পরিজনদের গ্রামের বাড়িতে রেখে একাই ঢাকা ফিরে এসেছেন।

ঢাকায় ফিরে আসা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, চাকরিতে আজ যোগ দেওয়ার জন্য ফিরে আসতে হলো। তবে বাচ্চাদের স্কুল-কলেজ আরো পরে খুলবে। সেজন্য তাদেরকে গ্রামের বাড়িতে রেখে এসেছি। আমি একাই ফিরে এসেছি। আজ সবেমাত্র ঈদের তৃতীয় দিন। আরো কয়েকটা দিন তারা ঈদের আনন্দ উপভোগ করুক।

ফিরে আসার সময় অনেকটা স্বস্তিতেই এসেছেন বলে জানান চাকরিজীবী হাসান হাবিব। তিনি বলেন, তেমন ভিড় ছিল না। যাওয়ার সময় যে কষ্ট করে গিয়েছি আসতে তেমন কষ্ট হয়নি। কাল-পরশু থেকে হয়ত ভিড় বাড়বে।

অপরদিকে, ঈদের তৃতীয় দিনেও ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে ট্রেনযাত্রার জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া অভিমুখী তিতাস কমিউটার, জামালপুর অভিমুখী জামালপুর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় অভিমুখী একতা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ অভিমুখী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, সিলেটের জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, তারাকান্দি অভিমুখে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং খুলনা অভিমুখী নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদেরকে ঢাকা ছাড়ার জন্য সময়সূচি অনুযায়ী প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে তিতাস কমিউটার ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ সায়রা বানু বলেন, ঢাকায় শ্বশুর বাড়িতে ঈদ করেছি। এখন গ্রামের বাড়িতে বাবা মায়ের কাছে বেড়াতে যাচ্ছি। টিকিট আগেই কাটা ছিল। এখন পর্যন্ত কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তবে যথাসময়ে ট্রেন না ছাড়লেই ভোগান্তি শুরু হবে।

ঢাকা রেলস্টেশন স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এখনো ঈদযাত্রার চাপ আছে। ঢাকা থেকে বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানোসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে মানুষজন ছেড়ে যাচ্ছেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি সময়মতো ট্রেনগুলো ছাড়ার জন্য। এখন পর্যন্ত সব শিডিউল ঠিক আছে।