২০২৩ সালের গ্রীষ্মকালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গত তিন মাসে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে ৪০ হাজারেরও বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত এসব আক্রান্ত-মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গ্রীষ্মকালে ভারতের অধিকাংশ প্রদেশ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ব্যাপক গরম পড়ে; তবে দেশটির জলবায়ুবিদরা জানিয়েছেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের গ্রীষ্মে ভারতের গড় তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। গত মে এবং জুন মাসে রাজধানী নয়াদিল্লি, উত্তরপ্রদেশসহ ভারতের কিছু কিছু অঞ্চলে দিনের বেলা তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। তাপপ্রবাহের জেরে আকাশে উড়ন্ত পাখি মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে— এমন ঘটনা এবারের গ্রীষ্মে ভারতে ঘটেছে অহরহ।
ভারতের প্রাণী সংরক্ষণবাদী অলাভজনক সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ এসওএসের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং শীর্ষ নির্বাহী কার্তিক সত্যনারায়ণ রয়টার্সকে বলেন, ‘গত দু’সপ্তাহে গরমের কারণে নয়াদিল্লিতে আকাশ থেকে পাখিদের মাটিতে লুটিয়ে পড়ার ঘটনা প্রচুর ঘটেছে। প্রতিদিনই আমরা ৩৫ থেকে ৪০টি ফোন রিসিভ করেছি। সব ফোনই ছিল পাখিদের উদ্ধার সংক্রান্ত।’
এদিকে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, শিগগিরই এই তাপপ্রবাহ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। বরং চলতি জুন মাসের শেষ পর্যন্ত এই আবহাওয়া বজায় থাকবে।
হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সূত্র : রয়টার্স