মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনা জাতিসংঘকে জানাল বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০১:২৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
- / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচল করা নৌযান ও সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনা জাতিসংঘে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৬তম অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর অনুষ্ঠিত সংলাপে এই বিষয়টি তুলে ধরা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের এ অধিবেশন শুরু হয়েছে ১৮ জুন। চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। জেনেভায় বাংলাদেশে স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন।
ঢাকা জানিয়েছে, নানা সীমাবদ্ধতার পরও বাংলাদেশ সাত বছর ধরে অন্তত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোই এই সংকটের একমাত্র সমাধান। মিয়ানমারের যেকোনো সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ। তবে এটি যেন বাংলাদেশের জনগণ ও সম্পদকে প্রভাবিত না করে।
সংলাপের শুরুতে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক কাউন্সিলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর একটি প্রতিবেদন পেশ করেন। তিনি সাম্প্রতিক সহিংসতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ এবং রাখাইনে ঘৃণ্য যুদ্ধ-কৌশল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ রুটে চলাচলকারী একাধিক ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হয়। নাফ নদীর মোহনায় এই ঘটনাগুলো ঘটে। এরপর থেকে সেন্টমার্টিনের পথে কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি।
তবে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) নাকি বিদ্রোহী আরাকান আর্মি গুলি চালিয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
এসব ঘটনার ৯ দিন পর বিকল্প পথে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনে ভিড়ে এমভি বারো আউলিয়া।
এদিকে, গত ১৬ জুন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেন্টমার্টিন নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আইএসপিআরের জানিয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির সংঘর্ষের বিষয়ে অবগত নৌ সদর দপ্তর। সেখানে সংঘর্ষের জেরেই নাফ নদীর মোহনায় বাংলাদেশি নৌযানের ওপর অনাকাঙ্ক্ষিত গুলির ঘটনা ঘটে। গত ১২ জুন এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মিয়ানমারের সংঘর্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে বলেও দাবি আইএসপিআরের।