ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সৌদিতে ৩০ জন বংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৩০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
  • / ৩৮২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৩০ জন বংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন এবং বাকি ১৩ জন‌ হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ সম্পর্কিত বুলেটিনে ২৭ জন হজযাত্রীর মারা যাওয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

হজযাত্রীদের মৃত্যুর বিষয়ে হজ অ্যাসোসিয়েশনের অব বাংলাদেশ (হাব) বলছে, সৌদিতে এখন পর্যন্ত ৩০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২৭ জনের তথ্য সৌদি সরকার অফিসিয়ালি ঘোষণা করেছে। বাকি তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

এই তিনজনের খোঁজ মিলছে না বলে তাদের সঙ্গে থাকা মুয়াল্লিম এবং পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা মারা গেছেন এটা জেনেছি, কিন্তু এখনো সৌদি সরকার ঘোষণা করেনি।

হাব সভাপতি বলেন, নিখোঁজ তিনজন মারা গেছেন বলে তাদের সংশ্লিষ্ট এজেন্সি আমাকে নিশ্চিত করেছে।

এদিকে হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, মারা যাওয়া (অফিসিয়ালি ঘোষিত ২৭ জন) হজযাত্রীদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাদের মধ্যে মক্কায় ২০ জন, মদিনায় চারজন, মিনায় দুইজন এবং জেদ্দায় একজন মারা গেছেন।

অন্যদিকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ঢাকার বংশালের মনির হোসেন (৫৯), কিশোরগঞ্জের ফাতেমা ইয়াসমিন (৫৩), পিরোজপুরের নার্গিস (৬০), ঢাকা নিউ মার্কেটের আমিনুল ইসলাম (৬৫), নোয়াখালীর মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৮), রংপুরের সিদ্দিকুর রহমান (৪৮), ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিক তোফাজ্জল হক (৭০), ঢাকা মোহাম্মদপুরের রওশন আরা বেগম (৭২), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার রেজাউল করিম মন্ডল (৬১), টাঙ্গাইল সদরের আলমগীর হোসেন খান (৭৩)।

হজ ডেস্কে তথ্যমতে, হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে গত ১২ জুন বুধবার সৌদিতে দুইজন মারা যান। তারা হলেন- মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২)। তাদের বাড়ি যথাক্রমে কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ। আর এ বছর হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ মারা যান নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী।

মারা যাওয়া অন্য হজযাত্রীরা হলেন- মো. ভোলা জেলা মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলা মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলা রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলা চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলা গোবিন্দপুর উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাহজাদ আলী (৫৫) এবং রংপুরে তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৪)।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

সৌদিতে ৩০ জন বংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:৩০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৩০ জন বংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন এবং বাকি ১৩ জন‌ হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ সম্পর্কিত বুলেটিনে ২৭ জন হজযাত্রীর মারা যাওয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

হজযাত্রীদের মৃত্যুর বিষয়ে হজ অ্যাসোসিয়েশনের অব বাংলাদেশ (হাব) বলছে, সৌদিতে এখন পর্যন্ত ৩০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২৭ জনের তথ্য সৌদি সরকার অফিসিয়ালি ঘোষণা করেছে। বাকি তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

এই তিনজনের খোঁজ মিলছে না বলে তাদের সঙ্গে থাকা মুয়াল্লিম এবং পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা মারা গেছেন এটা জেনেছি, কিন্তু এখনো সৌদি সরকার ঘোষণা করেনি।

হাব সভাপতি বলেন, নিখোঁজ তিনজন মারা গেছেন বলে তাদের সংশ্লিষ্ট এজেন্সি আমাকে নিশ্চিত করেছে।

এদিকে হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, মারা যাওয়া (অফিসিয়ালি ঘোষিত ২৭ জন) হজযাত্রীদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাদের মধ্যে মক্কায় ২০ জন, মদিনায় চারজন, মিনায় দুইজন এবং জেদ্দায় একজন মারা গেছেন।

অন্যদিকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ঢাকার বংশালের মনির হোসেন (৫৯), কিশোরগঞ্জের ফাতেমা ইয়াসমিন (৫৩), পিরোজপুরের নার্গিস (৬০), ঢাকা নিউ মার্কেটের আমিনুল ইসলাম (৬৫), নোয়াখালীর মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৮), রংপুরের সিদ্দিকুর রহমান (৪৮), ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিক তোফাজ্জল হক (৭০), ঢাকা মোহাম্মদপুরের রওশন আরা বেগম (৭২), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার রেজাউল করিম মন্ডল (৬১), টাঙ্গাইল সদরের আলমগীর হোসেন খান (৭৩)।

হজ ডেস্কে তথ্যমতে, হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে গত ১২ জুন বুধবার সৌদিতে দুইজন মারা যান। তারা হলেন- মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২)। তাদের বাড়ি যথাক্রমে কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ। আর এ বছর হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ মারা যান নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী।

মারা যাওয়া অন্য হজযাত্রীরা হলেন- মো. ভোলা জেলা মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলা মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলা রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলা চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলা গোবিন্দপুর উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাহজাদ আলী (৫৫) এবং রংপুরে তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৪)।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।