০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন চায় বাংলাদেশ

ভারতের সঙ্গে চলতি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তিই নবায়ন করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ নিয়ে শিগগিরই দুই দেশ কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৬ সাল চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে, তাই কালক্ষেপণের সুযোগ নেই। চুক্তি নবায়নে ন্যায্য হিস্যাসহ দূষণমুক্ত পানি নিশ্চিতের দাবিতে ঢাকাকে সোচ্চার থাকার পরামর্শ তাদের।

বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির ৩০ বছরের মেয়াদ, শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে।

দুদেশের অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৪টি। এর মধ্যে মাত্র এই একটি নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে চুক্তি হয় ঢাকা-দিল্লির। ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনার কথা জানায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ‘চলতি চুক্তিটিই নবায়ন করা হবে। দুই দেশের স্বার্থই এটি করা উচিত।’

১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী, ভারত বাংলাদেশকে প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা।

ফারাক্কা থেকে পানি ভাগাভাগির পয়েন্ট ধরা হলেও অভিযোগ রয়েছে, ফারাক্কায় পৌঁছানোর আগেই কয়েক ভাগে গঙ্গার পানি সরিয়ে নেয় ভারত।বিশ্লেষকেরা বলছেন, চুক্তি নবায়নের সময় এ বিষয়ে সোচ্চার থাকতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়–বুয়েটের পানি এবং বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফারাক্কা নয় পানি ভাগাভাগির পয়েন্ট ধরতে হবে নদীর বেসিন থেকে। ভারত থেকে এখন নোংরা পানি আসে। সে বিষয়েও আলোচনা করতে হবে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অববাহিকা ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার আওতায় নদীর ওপর মানুষের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যের অধিকারকেও গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু সেচের পানি বণ্টনের চেয়ে যে সময়ে, যে পরিমাণ পানি দরকার, তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে চুক্তি নবায়নের পরামর্শ তাদের।

গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন চায় বাংলাদেশ

আপডেট : ১২:২৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

ভারতের সঙ্গে চলতি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তিই নবায়ন করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ নিয়ে শিগগিরই দুই দেশ কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৬ সাল চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে, তাই কালক্ষেপণের সুযোগ নেই। চুক্তি নবায়নে ন্যায্য হিস্যাসহ দূষণমুক্ত পানি নিশ্চিতের দাবিতে ঢাকাকে সোচ্চার থাকার পরামর্শ তাদের।

বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির ৩০ বছরের মেয়াদ, শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে।

দুদেশের অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৪টি। এর মধ্যে মাত্র এই একটি নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে চুক্তি হয় ঢাকা-দিল্লির। ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনার কথা জানায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ‘চলতি চুক্তিটিই নবায়ন করা হবে। দুই দেশের স্বার্থই এটি করা উচিত।’

১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী, ভারত বাংলাদেশকে প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা।

ফারাক্কা থেকে পানি ভাগাভাগির পয়েন্ট ধরা হলেও অভিযোগ রয়েছে, ফারাক্কায় পৌঁছানোর আগেই কয়েক ভাগে গঙ্গার পানি সরিয়ে নেয় ভারত।বিশ্লেষকেরা বলছেন, চুক্তি নবায়নের সময় এ বিষয়ে সোচ্চার থাকতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়–বুয়েটের পানি এবং বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফারাক্কা নয় পানি ভাগাভাগির পয়েন্ট ধরতে হবে নদীর বেসিন থেকে। ভারত থেকে এখন নোংরা পানি আসে। সে বিষয়েও আলোচনা করতে হবে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অববাহিকা ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার আওতায় নদীর ওপর মানুষের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যের অধিকারকেও গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু সেচের পানি বণ্টনের চেয়ে যে সময়ে, যে পরিমাণ পানি দরকার, তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে চুক্তি নবায়নের পরামর্শ তাদের।