বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে
- আপডেট সময় : ০৯:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
- / ৩৮২ বার পড়া হয়েছে
ঈদের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়ায় ঈদের সময় ১৪ দিনে ১৯ হাজার ৪৩২ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এছাড়া রপ্তানি আয়ও এসেছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভও বেড়েছে। তবে গ্রস রিজার্ভ এখনো ২৫ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করতে পারেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৯ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৭৮ কোটি বা ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ১ হাজার ৯৫২ কোটি বা ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। ১২ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী ছিল ১৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন। এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ বেড়েছে ২৬ কোটি ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী বেড়েছে ৩১ কোটি ৮২ লাখ ডলার।
চলতি মাসের শুরুতে ৫ জুন গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ১৮ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।
তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্য কোথাও প্রকাশ করে না। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা অর্থ এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ-এর হিসাব করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৪ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার করে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা নেই।
এদিকে চলতি মাসের শেষ দিকে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ বাবদ ১১৫ কোটি ডলার পাওয়া যেতে পারে। এ অর্থ পেলে রিজার্ভ আরও বেড়ে যাবে।
সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন মন্দ সূচকে রয়েছে।