ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চলছে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁর চিকিৎসা চলছে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন।
এ ছাড়া বোর্ডে যুক্ত থাকছেন লন্ডন থেকে ডা.জোবায়েদা রহমানসহ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। রাত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কয়েক দফা এই মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডা. জোয়ায়েদা রহমানসহ বিদেশের চিকিৎসকেরা।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর ডা. জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, ম্যাডামের জন্য দোয়া করবেন এবং আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি।
তিনি জানান, শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় রাত ৩টার দিকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে আনা হয়।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, রাত দেড়টার দিকে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন বেগম খালেদা জিয়া। শরীরে ইলেক্ট্রলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।
সর্বশেষ গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বেগম জিয়াকে। ওই সময় চিকিৎসকেরা তাঁকে সিসিইউতে রেখে দুদিন চিকিৎসা দেন। এর আগের মাসেও ২ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিজটিলতাসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।