মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের নতুন দুঃস্বপ্ন ‘তুফান’
- আপডেট সময় : ১০:২২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪
- / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের পরাক্রমশালী সেনাদের জন্য নতুন দুঃস্বপ্ন হুতিদের ‘তুফান’। মানববিহীন ছোট্ট নৌযানটি দেড়শ’ কেজি যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম বলে দাবি ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সদ্য প্রকাশিত এই ভিডিওতে গত ১২ জুনের হামলা যেন হার মানিয়েছে সিনেমার দৃশ্যকেও। লোহিত সাগরে গ্রিক মালিকানাধীন এমভি টিউটর নামের কয়লাবাহী জাহাজটি বিস্ফোরণের পরপরই ডুবে যায়।
ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ব্রিটিশ মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্সসহ নৌপথে নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সূত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরকবোঝাই রিমোট কন্ট্রোলড একটি নৌকা দিয়ে হামলাটি চালিয়েছে হুতিরা। ছোঁড়া হয়েছে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের পরাক্রমশালী সেনাদের জন্য নতুন দুঃস্বপ্ন হুতিদের ‘তুফান’। মানববিহীন যে ছোট্ট নৌযানটি টিউটর জাহাজে হামলা চালাতে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি দেড়শ’ কেজি যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম বলে দাবি ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের।
নৌযানটি আনক্রুড সারফেস ভেসেল বা ইউএসভি হিসেবে পরিচিত। ‘তুফান ১’ নামের ইউএসভিটি হুতিদের নিজেদের বানানো। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ সমরশক্তিতে শীর্ষ দেশগুলোর অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সক্ষমতা রয়েছে তুফানের। আপাতত লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোই লক্ষ্য তুফানের। ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন তুফান পানির বুকে ছুটতে পারে ঘণ্টায় ৩৫ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কৃষ্ণসাগরে রুশ যুদ্ধজাহাজ প্রতিরোধে ইউক্রেন যে ধরনের ইউএসভি ব্যবহার করছে, তুফান ১ অনেকটা সে ধরনেরই। তুফান ১-এর গাইডেন্স সিস্টেম এখনও অজানা। তবে সাধারণত ইউএসভি দিয়ে লক্ষ্যে আঘাত হানতে জিপিএস আর ভিডিও গাইডেন্স সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে হুতিরা।
বলা হচ্ছে, তুফান ১ প্রকাশ্যে আনার মাধ্যমে লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের যুদ্ধজাহাজ ও বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে সর্বাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েনে নিজেদের প্রস্তুতিই জানান দিলো হুতিরা।
গাজার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে গেলো বছর নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ হামলা শুরু করে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা দেশগুলোকে চাপে ফেলতে এ পর্যন্ত হামলা হয়েছে ১৫৩টি জাহাজে।