ইউরোর গ্রুপ ‘ই’ এর প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামকে পরাজিত করে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল স্লোভাকিয়া। সে ম্যাচে গোল পেলেও নিয়মের গ্যাড়াকলে দুটি গোলই বাতিল হয় বেলজিয়ামের। এতে করে শঙ্কায় পড়ে যায় তাদের রাউন্ড অব সিক্সটিনে খেলা। অবশেষে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দাপট দেখিয়ে রোমানিয়াকে হারিয়েছে কেভিন ডি ব্রুইনার দল।
শনিবার (২২ জুন) জার্মানির কোলনে রেইনার্জিস্তাদিওনে রোমানিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বেলজিয়াম। দলের হয়ে গোল দুটি করেন ইয়োরি টাইলেমানস ও কেভিন ডি ব্রুইনা। এ জয়ে বেলজিয়ামের রাউন্ড অব সিক্সটিনে খেলার স্বপ্ন টিকে রইলো। সেই সঙ্গে জমে উঠলো গ্রুপ ‘ই’ এর লড়াই।
এদিন ম্যাচ শুরু হতে না হতেই এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। ম্যাচের ৭৫ সেকেন্ডে রোমেলু লুকাকুর বানিয়ে দেয়া বলে ডি বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন বেলজিয়ামকে লিড এনে দেন ইয়োরি টাইলেমানস। এই এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় দু’দল। বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে ম্যাচ। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোনো দলই।
ম্যাচরে ৬৩তম মিনিটে রোমানিয়ার জালে বল পাঠিয়ে গোলের উদযাপন শুরু করে দিয়েছিলেন স্ট্রাইকার লুকাকু। কিন্তু ভিএআরের রিপ্লেতে দেখা যায় গোলের সময় লুকাকুর একটি হাত অফসাইডে ছিল। যে কারণে বাতিল হয়ে যায় এই গোল।
এদিন ম্যাচ জুড়েই লুকাকু, টাইলেমানস ও ডকু রোমানিয়ার রক্ষণভাগে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। আর তাদের বলের জোগান দিয়ে গেছেন ডি ব্রুইনা। এরই মাঝে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন বেলজিয়ামের অধিনায়ক। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনা বেলজিয়ামের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ম্যাচের যখন আর ১০ মিনিট বাকি, বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কয়েন কাস্তিলাসের লংবল পান ডি ব্রুইনা। গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা রোমানিয়ার ডিফেন্ডার নিতাকে ছিটকে ফেলে ডানপায়ের দারুণ শটে গোল করেন ডি ব্রুইনা।
ইউরোর ইতিহাসে তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে অ্যাসিস্ট করার রেকর্ড করলেন বেলজিয়ামের কাস্তিলস। তার আগে ২০০০ সালে নরওয়ের টমাস মাইয়ের এবং নেদারল্যান্ডসের স্যান্ডর ওয়েস্টারভেলদের পর তিনি এই কীর্তি গড়েন। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বেলজিয়াম।
গ্রুপ ইতে চার দল রোমানিয়া, বেলজিয়াম, স্লোভাকিয়া এবং ইউক্রেন- প্রত্যেকে একটি করে ম্যাচ জিতলেও গোল গড়ে সেরা দুইয়ে আছে রোমানিয়া ও বেলজিয়াম। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে স্লোভাকিয়া এবং ইউক্রেন। ইউরোর ইতিহাসে এই প্রথম এক গ্রুপের চারদলই প্রথম দুই ম্যাচ শেষে একটি করে ম্যাচে জয় পেয়েছে। তৃতীয় ও শেষ রাউন্ডের খেলার পরেই দলগুলোর ভাগ্য নির্ধারিত হবে।