রাশিয়ার দাগেস্তানে ভয়াবহ হামলায় ১৬ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৫ জনই পুলিশ সদস্য ও একজন অর্থোডক্স পুরোহিত। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দুটি অর্থোডক্স গির্জা, সিনাগগ ও পুলিশ পোস্টে হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের গুলিতে ৬ সন্দেহভাজন হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
এ ঘটনায় জড়িত আরও ব্যক্তিদের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে স্থানীয় পুলিশ। তবে এ হামলার সঙ্গে কারা জড়িত, তা এখনো জানা যায়নি।
সোমবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রাশিয়ার দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রে দুটি অর্থোডক্স গির্জা, একটি সিনাগগ এবং একটি পুলিশ পোস্টে বন্দুকধারীদের হামলার পর ১৫ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য এবং একজন অর্থোডক্স পুরোহিতসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় ডারবেন্ট এবং মাখাচকালা শহরে সংঘটিত ওই হামলায় কমপক্ষে আরও ১২ জন আহত হয়েছেন।
হামলার শিকার ওই সিনাগগ এবং গির্জা উভয়ই ডারবেন্টে অবস্থিত, যা প্রধানত-মুসলিম উত্তর ককেশাস অঞ্চলে প্রাচীন ইহুদি সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। অন্যদিকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার (৭৮ মাইল) দূরে দাগেস্তানের রাজধানী মাখাচকালায় পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার ফলে ডারবেন্টের সিনাগগে আগুন লেগে যায় বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। এছাড়া গির্জা থেকে ধোঁয়া উঠছিল বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রের প্রধান সের্গেই মেলিকভ বলেছেন, হামলাকারীদের মধ্যে ছয়জনকে ‘শেষ করা’ হয়েছে।
এতে ২৪ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রের গভর্নর সের্গেই মেলিকভ। বাতিল করা হয়েছে সব ধরনের বিনোদন অনুষ্ঠান।
এছাড়া পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসতেই তাৎক্ষনিকভাবেই শুরু হয়েছে সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত।
গত এপ্রিলে দাগেস্তান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি। এর আগের মাসে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলার সঙ্গে তারা জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। ওই হামলায় ১৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। পরে হামলা দায় স্বীকার করে জঙ্গী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-আইএস।