ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি অগ্রহণযোগ্য: নোয়াব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • / ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। এর ফলে দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের নৈতিক সমর্থনও দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে নোয়াব।

আজ সোমবার নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ ও সহ–সভাপতি এ এস এম শহিদুল্লাহ খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

নোয়াবের বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের সাবেক ও বর্তমান উচ্চ এবং নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্যদের অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশকিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে, যা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে দেশের সব গণমাধ্যমের সম্পাদক বরাবর চিঠি দিয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পরবর্তীতে যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আকারে প্রকাশিত হয়েছে। নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) মনে করে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদ দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের নৈতিক সমর্থন জুগিয়েছে।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবাদলিপির একটি অংশে বলা হয়, ‘জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্যও আমরা সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে নোয়াবের বক্তব্য হলো, পুলিশের নানা অর্জন ও ভালো কাজের মূল্যায়ন প্রতিবেদন আকারে গণমাধ্যম প্রচার করে থাকে। আবার সরকারের দায়িত্বশীল পদে কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন, যা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়—এমন তথ্য অনুসন্ধান করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে তা প্রকাশের কাজটিও করে থাকে গণমাধ্যম। এ সমস্ত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনে কোনো ত্রুটি থাকলে তার দায় সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের। এ নিয়ে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি অথবা যথাযথ নিয়ম ও বিধি অনুসরণ করে প্রেস কাউন্সিলের দারস্থ হতে পারে। তা না করে প্রতিবাদের মাধ্যমে পারস্পরিক দোষারোপ, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধের নামে গণমাধ্যমকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, যা স্বাধীন গণমাধ্যম ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চর্চার পরিপন্থী বলে মনে করে নোয়াব।

নোয়াবের মতে, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এ চিঠি তাদের ভাবমূর্তিকেই আরও ক্ষুণ্ণ করেছে এবং দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছে।

নোয়াব প্রত্যাশা করে, ভবিষ্যতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের নীতি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকর্মীদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় পুলিশ বাহিনী সহযোগিতা করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি অগ্রহণযোগ্য: নোয়াব

আপডেট সময় : ১১:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। এর ফলে দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের নৈতিক সমর্থনও দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে নোয়াব।

আজ সোমবার নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ ও সহ–সভাপতি এ এস এম শহিদুল্লাহ খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

নোয়াবের বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের সাবেক ও বর্তমান উচ্চ এবং নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্যদের অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশকিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে, যা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে দেশের সব গণমাধ্যমের সম্পাদক বরাবর চিঠি দিয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পরবর্তীতে যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আকারে প্রকাশিত হয়েছে। নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) মনে করে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদ দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের নৈতিক সমর্থন জুগিয়েছে।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবাদলিপির একটি অংশে বলা হয়, ‘জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্যও আমরা সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে নোয়াবের বক্তব্য হলো, পুলিশের নানা অর্জন ও ভালো কাজের মূল্যায়ন প্রতিবেদন আকারে গণমাধ্যম প্রচার করে থাকে। আবার সরকারের দায়িত্বশীল পদে কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন, যা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়—এমন তথ্য অনুসন্ধান করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে তা প্রকাশের কাজটিও করে থাকে গণমাধ্যম। এ সমস্ত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনে কোনো ত্রুটি থাকলে তার দায় সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের। এ নিয়ে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি অথবা যথাযথ নিয়ম ও বিধি অনুসরণ করে প্রেস কাউন্সিলের দারস্থ হতে পারে। তা না করে প্রতিবাদের মাধ্যমে পারস্পরিক দোষারোপ, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধের নামে গণমাধ্যমকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, যা স্বাধীন গণমাধ্যম ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চর্চার পরিপন্থী বলে মনে করে নোয়াব।

নোয়াবের মতে, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এ চিঠি তাদের ভাবমূর্তিকেই আরও ক্ষুণ্ণ করেছে এবং দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছে।

নোয়াব প্রত্যাশা করে, ভবিষ্যতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের নীতি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকর্মীদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় পুলিশ বাহিনী সহযোগিতা করবে।